নয়াদিল্লি: হামাসের হামলা (Hamas Attack) এবং ইজরায়েলের (Israel Palestine War) জবাবি হানার মধ্যে আটকে পড়েছেন মেঘালয়ের (Meghalaya Tourist Stranded In Jerusalem) ২৭ জন পর্যটক, জানালেন সে রাজ্যের মুখ্য়ন্ত্রী কনরাড সাংমা। এই পরিস্থিতি থেকে কী ভাবে তাঁদের উদ্ধার করে আনা যায়, তা নিয়ে নিরন্তর বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার সকাল পর্যন্ত যা খবর, তাতে ইজরায়েলের পাল্টা হামলায় গাজায় ২৩২ জনের প্রাণ গিয়েছে। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি, খবর নানা সংবাদমাধ্যম সূত্রে।


মেঘালয়ের পর্যটকদের সম্পর্কে...
গত কাল, শনিবারই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'মেঘালয়ের ২৭ জন পুণ্যার্থী হিসেবে জেরুসালেমে গিয়েছিলেন। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের অশান্তির জেরে তাঁরা এখন বেথলেহেমে আটকে রয়েছেন। তাঁরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসতে পারেন, সে জন্য নিরন্তর কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।' গত কাল ভোরে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট-হামলার সঙ্গে ইজরায়েলে ভূমি, আকাশ এবং সমুদ্রপথেও হানা দেয় প্যালেস্তাইনি জঙ্গি সংগঠন 'হামাস'। ইজরায়েলের ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিস জানায়, গত কালই নিহতের সংখ্যা ৩০০-র কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। এতেই শেষ নয়। শোনা যায়, ইজরায়েলের বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক এবং সেনাকর্মীকেও অপহরণ করে গাজায় নিয়ে আসা হয়। গত কালই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু বলেন, 'আমরা এখন যুদ্ধের মুখোমুখি। শত্রুদের অভূতপূর্ব মূল্য় চোকাতে হবে।'


পাল্টা জবাব...
আকাশপথে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইজরায়েল। রবিবার সকাল পর্যন্ত সেই জবাবি হামলায় ২৩২ জনের প্রাণ গিয়েছে বলে খবর। তবে তার আগে ইজরায়েলের তরফে গাজার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বা আইডিএফের আরব মিডিয়ার মুখপাত্র লেখেন, 'গাজা স্ট্রিপের বাসিন্দারা, সাবধান। হামাস যে হামলা করেছে, তার জন্য আপনাদের বাসস্থলে আমাদেরও হামলা চালাতে হবে। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আপনারা বাড়ি ছেড়ে চলে যান।' হামাস পরিচালিত ১৪০ বর্গমাইল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গাজায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বসবাস।  কিন্তু ২০০৭ সাল থেকে ভূমি, আকাশ এবং সমুদ্রপথে কার্যত গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে গাজা। একমাত্র এর দক্ষিণের সীমান্ত ক্রসিং, রাফাহ, সেটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মিশরের হাতে। এরকম অবস্থায় কী ভাবে হামাসের হামলা এবং ইজরায়েলের জবাবি হামলায় ধুন্ধুমার পশ্চিম এশিয়ার ওই অঞ্চলে।


 


আরও পড়ুন:রণক্ষেত্র গাজা, অশান্ত ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল ব্রিটেন, আমেরিকা