নয়াদিল্লি: দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে ৯.২ শতাংশ।  মে মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭ শতাংশ। সেখান থেকে একধাক্কায় ২ শতাংশের বেশি বেকারত্ব বেড়েছে জুন মাসে, যা গত আট মাসে সর্বোচ্চ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (CMIE) এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। চাকরির বাজারের দুরবস্থা তুলে ধরেছে তারা। (CMIE Unemployment Data)


দেশের কর্মক্ষম মানুষ, যাঁরা বেকার এবং যাঁরা হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজছেন, তাঁদের নিয়েই বেকারত্বের হার নির্ণয় করা হয়। জুন মাসে এই বেকারত্বের হারও বেড়ে ৯.২ শতাংশ হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে এই বেকারত্বের হার ছিল ৮.৫ শতাংশ। (CMIE Data)



CMIE জানিয়েছে, জুন মাসে মহিলাদের বেকারত্বের হার ছিল ১৮.৫ শতাংশ, যা বেকারত্বের জাতীয় গড় হারের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৫.১ শতাংশ ছিল মহিলাদের বেকারত্বের হার। সেই নিরিখে পুরুষদের বেকারত্বের হার ৭.৮ শতাংশ ছিল। গত বছর জুন মাসে পুরুষদের বেকারত্বের হার ৭.৭ শতাংশ ছিল। 

 


 

গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হারও ঊর্ধ্বমুখী। জুন মাসে গ্রামীণ বেকারত্বের হার ছিল ৯.৩ শতাংশ, যা মে মাসে ছিল ৬.৩ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুন মাসে গ্রামীণ বেকারত্বের হার ৮.৮ শতাংশ ছিল। গ্রামীণ এলাকায় পুরুষদের বেকারত্বের হার ৮.২ শতাংশ, যা মে মাসে ৫.৪ শতাংশ ছিল। মে মাসে গ্রামীণ মহিলাদের বেকারত্বের হার ছিল ১২.০ শতাংশ, জুন মাসে তা বেড়ে ১৭.১ শতাংশ হয়েছে।


শহরাঞ্চলে জুন মাসে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৮.৯ শতাংশ, যা মে মাসে ৮.৬ শতাংশ ছিল। শহরাঞ্চলে জুন মাসে মেয়েদের বেকারত্বের হার ২১.৩৬ শতাংশ, যা ১৮.৫৩ শতাংশ ছিল। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে CMIE. কারণ তাদের দাবি, Labour Participation Rate (LPR) বেশি হলেও, বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। ১৫  বছরের বেশি বয়সি কর্মক্ষম নাগরিক যাঁরা রোজগার করছেন বা হন্যে হয়ে রোজগার করছেন, তাঁদের নিয়েই LPR নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ চাকরির জন্য নাগরিকরা মুখিয়ে থাকলেও, সেই তুলনায় কর্মসংস্থান নেই। পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে এই LPR যথাক্রমে ৬৮.১ শতাংশ এবং ১১.৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে জুন মাসে LPR ৪১.৪ শতাংশ, মে মাসে যা ৪০.৮ শতাংশ ছিল।

 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক উৎপাদন বাড়লেও, সেই নিরিখে কর্মসংস্থান নেই। বিশেষ কের অল্প বয়সিরা চাকরি পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৪৪.৪৯ শতাংশ। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে গত বছরই নিয়োগের হারে ১৮ শতাংশ পতন দেখা যায়। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতে, কলেজ-ইউনিভার্সিটি থেকে দলে দলে ছেলেমেয়েরা ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে এলেও, চাকরির সঙ্গে তাঁদের দক্ষতা মিলছে না।