প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: প্রতি সপ্তাহে কয়লা পাচারের ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা পৌঁছত প্রভাবশালী রাজনীতিক ও পুলিশের একাংশের কাছে! এক মাসে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার টার্নওভার! শিলিগুড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে এমনই দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, আটক ব্যক্তি কয়লা কাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রী অনুপ মাঝি ওরফে লালার হ্যান্ডলার।


 


কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে লালার প্রধান হ্যান্ডলার? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, রবিবার শিলিগুড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, আটক ব্যক্তি কয়লা পাচার চক্রের পাণ্ডা অনুপ মাঝি ওরফে লালার প্রধান হ্যান্ডলার। তাঁকে জেরা করে ২৫ থেকে ৩০ জন প্রভাবশালীর নাম মিলেছে।


 


যাঁদের কাছে কয়লা পাচারের বিপুল টাকা নিয়মিত পৌঁছত ৷ টাকার অঙ্কের পরিমাণ প্রতি সপ্তাহে ৫০ তেকে ৬০ কোটি টাকা !


 


কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, আটক ব্যক্তি পুরুলিয়ার বাসিন্দা। কয়লা কাণ্ডে ফেরার অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়িও পুরুলিয়াতেই। সিবিআই সূত্রে দাবি, লালার নিতুড়িয়ার বাড়ি থেকে একটি রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়।


 


কয়লা পাচারের কত টাকা কাকে পাঠানো হত, তা ওই রেজিস্টারে লেখা আছে। সেই রেজিস্টারে শিলিগুড়ি থেকে আটক ব্যক্তির সই ও নাম রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের ৷ সিবিআই সূত্রে দাবি, আটক ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে পুরুলিয়া থেকে একটি সাধারণ গাড়িতে কয়লা পাচারের নগদ ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা নিয়ে তিনি বেরোতেন। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে, নির্দিষ্ট লোকের হাতে টাকা তুলে দিতেন। আটক ব্যক্তির বয়ানের সঙ্গে লালার রেজিস্টারে লেখা নাম ও টাকার অঙ্ক মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে কলকাতার আরও ১২ জন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে ইডি ৷


 


ইডি সূত্রে দাবি, এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কয়লা পাচারের টাকা যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর অ্যাকাউন্টে যেত। তারপর তা পৌঁছত প্রভাবশালীদের কাছে। এসবের মাঝে এদিন সুপ্রিম কোর্টে লালা-মামলার শুনানি পিছিয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১০ মার্চ।