প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।  আজ সুপ্রিম কোর্টে এ নিয়ে শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ এপ্রিল। তাই ওইদিন পর্যন্ত লালার আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদ বেড়েছে।  আজও লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।


কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার আইনি রক্ষকবচের মেয়াদ বাড়ল। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।  আর এরইমধ্যে মঙ্গলবার ফের লালাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।


টানা ১০ ঘণ্টা। এই নিয়ে চতুর্থবার। কিন্তু, ফের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অভিযুক্ত অনুপ ওরফে লালা। সিবিআই সূত্রে দাবি, তথ্যপ্রমাণ দেখানো হলেও কিছু বলতে চাইছেন না তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যে সব থানায় কেস রয়েছে, তার তথ্য তুলে ধরলেও লালা বলছেন, কিছুই জানেন না।শুধু বলে চলেছেন, তিনি কিছু করেননি। তাঁকে দিয়ে কেউ কেউ কিছু কাজ করিয়ে নিয়েছেন। 


এর আগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন লালা।  মঙ্গলবারই তার মেয়াদ শেষ হয়।  এদিন সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৩ এপ্রিল।ফলে ওই দিন পর্যন্ত লালার আইনি রক্ষাকবচের মেয়াদও বেড়েছে। 


এদিকে এদিন নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা লালার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও, তিনি মুখ খোলেননি। এরইমধ্যে লালার এক সঙ্গী আচমকাই সাংবাদিকদের ধাক্কা মারেন।কাজে বাধা দেন।


এদিকে কয়লাকাণ্ড কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত তুঙ্গে। গতকাল এই নিয়ে ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে অভিষেক লেখেন, ‘সব কয়লা খনিই কেন্দ্রের অধীন, যা রক্ষা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সব কয়লা খনিই কেন্দ্রের অধীন, যা রক্ষা করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিজেপি যদি মনে করে, তৃণমূল নেতারা অবৈধ খনি থেকে টাকা পাচ্ছে, তাহলে যাঁরা জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে পারে না, সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না কেন? আরেকটি ট্যুইটে অভিষেক লেখেন, বিজেপি যদি মনে করে থাকে, কয়লা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরা নিজেদের বস (মোদি-শাহ)-র নির্দেশ মানার চেয়ে তৃণমূল নেতাদের মানতে বেশি তৎপর, তাহলে তা নিতান্তই হাস্যকর। কাকে বোকা বানাচ্ছে বিজেপি?’