প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার ইডি-র জালে পুলিশ আধিকারিক। বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্রকে গ্রেফতার করল ইডি। দিল্লির সদর দফতরে পুলিশ কর্তাকে চলছে জেরা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, ইনস্পেক্টর র্যাঙ্কের এই অফিসার সম্পর্কে কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর আত্মীয়। এর আগে ওই পুলিশ অফিসারকে গরু পাচারকাণ্ডেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইডি-র দাবি, এই পুলিশ অফিসারের যোগসাজশেই গরু ও কয়লা পাচারের টাকা পুলিশ ও প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছত। ইডি-র অভিযোগ, পাচারকারীদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারেও এই পুলিশ অফিসারের যোগ ছিল। এর পাশাপাশি, কয়লাকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে আগামীকাল তলব করেছে সিবিআই।
রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। মঙ্গলবার তৃতীয় দফার নির্বাচন। এরইমধ্যে তুঙ্গে উঠেছে কয়লা, গরু থেকে সারদা, মেট্রো ডেয়ারি মামলায় সিবিআই-ইডির তৎপরতা। রবিবার কয়লাকাণ্ডে বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্রকে গ্রেফতার করল ইডি।
সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পাওয়ার পরেই গত মঙ্গলবার কয়লাপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের কাছে হাজির হন কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। সাড়ে ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরও সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। সূত্রের খবর, লালার জবাবে সন্তুষ্ট নয় তদন্তকারীরা। আর তাই ফের ১ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় তাঁকে।
দীর্ঘ ৪ মাস ধরে তাঁর হদিশ পায়নি সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ মিলতেই তাঁর নাটকীয় আত্মপ্রকাশ। যাদের ডাকে এতদিনে সাড়া দেননি, যারা এতদিন হন্যে হয়েও, তাঁকে খুঁজে বের করতে পারেনি, সেই সিবিআই দফতরে সটান হাজির হলেন কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা। কিন্তু, তাঁকে সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে পরও সন্তুষ্ট হয়নি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এর আগে কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে আসেন আসানসোলের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার। নোটিস পেয়ে সিবিআই দফতরে যান কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল সিপি লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, লক্ষীনারায়ণ মিনা আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার থাকাকালীনই অবৈধ কয়লা খনি থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা তোলা হয়।