নয়াদিল্লি: গাঁধী পরিবার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের এসপিজি সুরক্ষা বলয় ফেরানোর দাবি কংগ্রেসের। বুধবার রাজ্যসভায় সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা করে এ নিয়ে ২৬৭ রুলের আওতায় সভার কাজকর্ম স্থগিত রাখার নোটিস দেয় তারা। গাঁধী পরিবারের তিন সদস্যের এসপিজি সুরক্ষা বলয় তাঁদের জীবনের ঝুঁকি, বিপদের মাত্রা রিভিউ করে গত সপ্তাহে প্রত্যাহার করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁদের জেড প্লাস নিরাপত্তা দেবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
আজ সংসদের উচ্চকক্ষে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা ‘সংকীর্ণ রাজনীতি’র ঊর্ধ্বে উঠে সনিয়া, রাহুলদের এসপিজি সুরক্ষা ফেরানোর আবেদন করেন। বলেন, দলের চার নেতা-নেত্রীর ব্যক্তিগত সুরক্ষা, নিরাপত্তা, প্রাণ বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থেই ওঁদের এসপিজি নিরাপত্তা ফেরানো দরকার। দয়া করে ক্ষু্দ্র মানসিকতা ত্যাগ করে তা ফেরান। সেটা জাতীয় স্বার্থই পূরণ করবে, আর তা না হলে আজ, কাল বা আগামীদিনে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। রাজ্যসভা চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে ২৬৭ রুলের আওতায় নোটিসও দেন শর্মা।
কংগ্রেস চার শীর্ষ নেতা-নেত্রীর সুরক্ষার মাত্রা হ্রাসের অভিযোগে বারবার সরব হচ্ছে। লোকসভায়ও সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করে তারা।
কংগ্রেসের তরফে রাজ্যসভায় এসপিজি সুরক্ষার পক্ষে সওয়াল করে বলা হয়, মনমোহন সিংহ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। সনিয়া গাঁধী ইউপিএ চেয়ারপার্সন হওয়ার পাশাপাশি শহিদ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর পুত্রবধূ, আরেক শহিদ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর স্ত্রী। সুতরাং জীবনহানির আশঙ্কা, বিপদ রয়েইছে। এসপিজি বলয় তুলে নেওয়ার অর্থ, তাঁদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া।
তাছাড়া, রাজনৈতিক নেতাদের রক্ষার দায় সরকারের, এহেন সওয়াল করেও শর্মা বলেন, ইউপিএ ক্ষমতায় থাকাকালে বিষয়টি বিবেচনা করে, অটলবিহারী বাজপেয়ী সহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থায় ১০ বছর কোনও বদল করা হয়নি। আমি রাজনৈতিক কথা বলছি না। বাকি অন্যান্য সুরক্ষাপ্রাপকদের বলয়ও কমানো বা প্রত্যাহার করা হয়নি।
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জে পি নড্ডা সনিয়া, তাঁর ছেলে ও মেয়ে, মনমোহন সিংহের এসপিজি কভার প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও ‘রাজনীতিই নেই’ বলে দাবি করে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা বিপদ, ঝুঁকির মাত্রা বিচার করে নিরাপত্তা বলয়ের আয়োজন বা প্রত্যাহার করে। তারা একটা মাপকাঠি ঠিক করেছে। একটা প্রটোকলও আছে। কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, এটা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।