নয়া দিল্লি : প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েও ভুল স্বীকার করলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। কোন রাজ্য সরাসরি করোনার টিকা কেনার আবেদন করেছে তা জানতে চেয়ে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি দেখে ভোল বদলান তিনি। ট্যুইটারে ভুল স্বীকার করেন চিদম্বরম।
সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে কাঠগড়ায় তোলেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ''কেন্দ্রকে ভ্যাকসিন তুলতে কেউ বারণ করেনি। এখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) রাজ্যগুলিকে দোষারোপ করে বলছেন, ওরা সরাসরি ভ্যাকসিন কিনতে চেয়েছিল তাই আমরা অনুমতি দিয়েছি। আমাদের জানান, কোন রাজ্যের কোন মুখ্যমন্ত্রী কত তারিখে সরাসরি ভ্যাকসিন তোলার জন্য আবেদন করেছিলেন ?''
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে চিদম্বরমের এই উক্তির পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে। যা দেখে নিজের মন্তব্য ফিরিয়ে নেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ''আমি এএনআইকে কোন রাজ্য সরাসরি ভ্যাকসিন তুলতে চেয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন রাখি। এই বিষয়ে একজন সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী একটি চিঠি দেখান। যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই ধরনের অনুরোধ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আমি ভুল জানতাম। আমি আমার অবস্থান শুধরে নিলাম।''
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ''আগামী ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্র। এখন থেকে রাজ্যের বদলে কেন্দ্রের কাছে পুরো টিকাকরণের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।'' এই বলেই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রাজ্যের অনুরোধেই ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ ডিসেন্ট্রালাইজ করা হয়েছিল। কারণ এই নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে অভিযোগ ছিল।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাকসিনের বিষয়ে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি চান মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠিতে মমতা লেখেন, রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে চান তিনি। তাই বিষয়টি যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যবাসীর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরাসরি প্রস্তুতকারীদের থেকে এই ভ্যাকসিন কিনতে চায়।