সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজ থাকার পর বেলঘরিয়ার আড়িয়াদহ এর বিন্দুবাসিনী তলার ৩৮ বছরের যুবকের দেহ উদ্ধার।  নিহতের নাম সুজিত ঘোষ। বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গেট এলাকায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান,ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে তাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু বিন্দুবাসিনী তলা থেকে বেলঘরিয়া ২ নম্বর গেটে কি করে গেলেন সেই নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ স্থানীয় এক প্রোমোটারের সঙ্গে বিবাদের জেরে তাকে খুন করা হয়েছে । সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।গতকাল দুপুরে তার পরিবারের লোকজন যখন বেলঘড়িয়া থানা নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান সেই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই দেহটি দেখানো হয়। পরিবারের লোকজন দেহ শনাক্ত করে ।


ওই যুবকের মুখটা আর আস্ত ছিল না। রক্তাক্ত মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল রক্তমাখা ইট।স্টোনম্যানের কায়দায় খুন করা হয়েছে বেলঘরিয়ার ওই যুবককে।নিহত সুজিত দাস, আড়িয়াদহের বিন্দুবাসিনীতলার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন তিনি। সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৩৮ বছরের সুজিত দাস। ওই দিন গভীর রাতেই বেলঘরিয়া ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে উদ্ধার হয়, তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ। পাশ থেকে উদ্ধার হয় রক্তমাখা ইট। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি,  স্থানীয় এক প্রোমোটারের সঙ্গে বিবাদের কারণেই এই খুন। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি। খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। 
নয়ের দশকের কলকাতায় এরকম কায়দাতেই খুন হয় একের পর এক মানুষ। তবে সেবার ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় পাথরের ঘা দিয়ে খুন করা হয়েছিল তাঁদের। উত্তর থেকে দক্ষিণ। শহর জুড়ে  ছড়িয়ে পড়েছিল স্টোনম্যানের আতঙ্ক। গত বছর হাওড়ার জগাছায় এক যুবককে পাথর দিয়ে থেতলে খুনের অভিযোগে, কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার  স্টোনম্যানের কায়দায় খুনের ঘটনা ঘটল বেলঘরিয়ায়।