নয়াদিল্লি: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত 'ভারত জোড়ো যাত্রা' করেছিলেন (Bharat Jodo Yatra)। হাতেনাতে তার সুফল মিলেছে। কর্নাটকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে কংগ্রেস (Congress)। এবার জনসংযোগকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। মধ্যরাতে সওয়ার হলেন ট্রাকে। কথা বললেন ট্রাকের চালকের সঙ্গে। মালপত্র পরিবহণের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের, বিশদে খবর নিলেন (Viral Video)। 


সোমবার রাতে দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন রাহুল। হরিয়ানার অম্বালায় সেই সময়ই একটি ট্রাকে উঠে পড়েন তিনি। চালকের পাশের আসনে বসে পড়েন। তার পর রওনা দেন। যাত্রাপথে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন ওই ট্রাকের চালকের সঙ্গে। ট্রাকে সওয়ার হওয়া থেকে, চালকের পাশে বসে রাহুলের ওই যাত্রার ছবি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে কংগ্রেস নেতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সকলে। 


এই মুহূর্তে কংগ্রেসের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও জনসংযোগ কর্মসূচি গৃহীত হয়নি। তবে রাহুল শিমলা যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। কারণ এই মুহূর্তে সপরিবারে শিমলায় রয়েছেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন রাহুল। তার আগেই ট্রাকে সওয়ার রাহুলের ভিডিওটি সামনে এল। কংগ্রেস নেতা ইমরান প্রতাপগড়ী ট্রাকে সওয়ার রাহুলের একটি ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, 'ট্রাক ড্রাইভারদের সমস্যা জানতে, ওঁদের মাঝে হাজির হলেন রাহুল গাঁধী। জাতীয় সড়ক ১-এ ট্রাকে সওয়ার হলেন। এ ভাবে ট্রাক ড্রাইভারদের সঙ্গে কথা বলা, তাঁদের সমস্যা জানতে চাওয়ার কাজ রাহুল গাঁধীই করতে পারেন। আপনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন রাহুলজি'।



কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ লেখেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, খেলোয়াড়, সরকারি চাকরিপ্রার্থী যুবক, কৃষক, ডেলিভারি পার্টনার, বাসে আম নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলার পর, মধ্যরাতে হঠাৎ এক ট্রাক চালকের সঙ্গে কেন দেখা করলেন রাহুল গাঁধী? কারণ উনি দেশের মানুষের কথা শুনতে চান, সকলের সমস্যার কথা জানতে চান। ওঁকে এ ভাবে দেখে আস্থা জাগে। কেউ তো আছেন, যিনি দেশবাসীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত, কেউ তো আছেন, যিনি ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খুলছেন এবং ধীরে ধীরে বিশ্বাস ফিরে আসছে যে দেশ আবারও ভালবাসা এবং শান্তির পথে ফিরতে উৎসুক'। সোমবার রাতে ট্রাকে সওয়ার হওয়ার পর একটি গুরুদ্বারেও দেখা যায় রাহুলকে। 



কর্নাটকে কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে সম্প্রতি। তার নেপথ্যে রাহুলের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কর্নাটকে সরকার গড়ার পরই ফের সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন রাহুল। নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে না হয়ে, কেন মোদির হাতে হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দেশের সাংবিধানিক প্রধান থাকতে কেন কার্যনির্বাহী প্রধান নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন করছেন, সেই নিয়ে সরব হয়েছে অন্য বিজেপি বিরোধী দলগুলিও।