নয়াদিল্লি: বিজেপি বিরোধী জোটে সকলকে শামিল করতে গেলে কংগ্রেসকে (Congress) অহং ছাড়তে হবে বলে দাবি উঠছিল গোড়া থেকেই (Lok Sabha Elections 2024)। পটনায় তাই বিরোধী জোটের বৈঠকে তাই মোটামুটি ব্যাকসিটেই ছিল দেশের 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি'। কিন্তু আম আদমি পার্টির (AAP) সঙ্গে সংঘাত এড়ানো যায়নি। আমলা নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় কংগ্রেস সরব না হলে, বিরোধী জোটে শামিল হওয়া নিয়ে তাদের ভাবতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বাদানুবাদও হয় তাঁর। মধ্যস্থতা করতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয় বৈঠকের আগে আপ-এর শর্ত মেনে নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস, দলীয় সূত্রে অন্তত তেমনই খবর মিলছে (Opposition Alliance)।


শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। সেখানে রাজ্য়ের নির্বাচিত সরকারগুলিকে কেন্দ্রের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুধুমাত্র বিজেপি-র বিরোধিতা নয়, জয়রামের এই মন্তব্যের নেপথ্যে রাজনৈতিক কৌশল কাজ করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাহলে কি দিল্লিতে আমলা নিয়োগে কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে কংগ্রেস, পাশে দাঁড়াবে আপ-এর, উঠছে প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে জয়রামের মন্তব্য। 


আরও পড়ুন: Delhi Yamuna River: বিস্মৃত হয়েছেন মানুষ, ভোলেনি শুধু নদী, বানভাসি দিল্লিতে হিসেব বুঝে নিতে ফিরল যমুনা!


এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়রাম বলেন, "রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের আঘাতের বিরুদ্ধে বরাবর প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে কংগ্রেস। আগামী দিনেও সেই প্রতিবাদ জারি থাকবে, সে সংসদের অন্দরে হোক বা বাইরে।" সরাসরি যদিও দিল্লি সরকার বা আপ-এর উল্লেখ করেননি জয়রাম, কিন্তু বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠকের আগে তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 


বিজেপি বিরোধী জোটে শামিল হওয়া নিয়ে আগাগোড়াই কংগ্রেসকে বেকায়দায় ফেলেছে আপ। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কংগ্রেস অবস্থান স্পষ্ট ভাবে না জানানো পর্যন্ত বিজেপি বিরোধী জোটে শামিল হওয়ার বিষয়টি ঝুলে থাকবে বলে জানায় তারা। সংসদের বাদল অধিবেশন যখন এগিয়ে আসছে এবং বিরোধীদের বৈঠকও রয়েছে, ঠিক সেই সময় কংগ্রেস প্রদেশ সরকারগুলির পক্ষ নিয়ে সুর নরম করল বলেই ধরছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 


তবে রীতিমতো পরিকল্পনা করেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে একমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাদল অধিবেশনের আগে শনিবারই কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির বৈঠক বসে দিল্লিতে। সংসদে কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা করা হবে, তা নিয়ে বিশদ আলোচনাও হয়। দিল্লির জন্য কেন্দ্রের বিশেষ অর্ডিন্যান্স নিয়েও কি তাহলে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে? এই প্রশ্নের জবাবেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন জয়রাম।