নয়াদিল্লি : ভোটার তালিকায় ভূরি ভূরি অসঙ্গতির অভিযোগ। একের পর এক রাজ্যে এই অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভার ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে তিনি মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের কথা তোলেন। রাহুল বলেন, "প্রত্যেক রাজ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে, সাদা-কালো ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। পুরো বিরোধীপক্ষ বলছে, ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।"
রায়বরেলির সাংসদ সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ভোটার তালিকা নিয়ে কি আলোচনা হবে ? এর জবাবে রাহুল বলেন, "আমার মনে হয় না।" একই ইস্যুতে এক্স হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওয়েনাডের সাংসদ ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি লেখেন, প্রত্যেক ভোটে ভোটার তালিকায় জালিয়াতির ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে আশঙ্কার। এই ইস্যুতে বিরোধী পক্ষ সংসদে আলোচনা চায়। গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে রক্ষা করতে, এই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। এই আলোচনা প্রত্যাখ্যান করার পরিবর্তে অনুমতি দেওয়া উচিত সরকারের।
এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় আগেই বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় একই এপিক নম্বর দেখিয়েছেন। সৌগতর কথায়, "মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা সম্পর্কে আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, এটি গুরুতর ত্রুটি। ওরা আগামী বছর বাংলা, অসম নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মোট ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে সংশোধন করা উচিত।" এই ত্রুটি নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের জবাব দেওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
সুর আরও চড়িয়ে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সরকারি পরিকাঠামোর অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকার, অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দল, একসঙ্গে, সরকারি ব্যবস্থার অপব্যবহারের মাধ্যমে, জাল ভোটার তৈরি করা হচ্ছে। তারা মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে এমনটা করেছিল, এখন তারা বাংলাতেও একই কাজ শুরু করেছে... যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু না হয়... শুধুমাত্র একটি দলই ক্ষমতায় আসতে থাকবে এবং তারা দুর্নীতি করবে।"