নয়াদিল্লি : হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। শুক্রবার সকালে তিনি উত্তরপ্রদেশের হাথরসে যান। হাথরস যাওয়ার পথে আলিগড়েও থামেন। সেখানে শোকার্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। গত ২ জুলাই হাথরসের ফুলারি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ১২৩ জন মারা যান। তাঁদের মৃতদেহ শনাক্ত করা গেছে। মৃতদেহগুলি তাঁদের পরিবারের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে।


কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে দেখা করার পর শোকার্ত পরিবারের এক সদস্য বলেন, "সেখানে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা বা কোনও রকম ব্যবস্থা ছিল না। ওই মহিলা আরও বলেন, "উনি (রাহুল গান্ধী) দলের মাধ্যমে সম্ভাব্য সমস্তভাবে সাহায্য করবেন বলেছেন। সৎসঙ্গস্থলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভাল ছিল না। যদি চিকিৎসা পরিষেবা থাকত তাহলে আমাদের পরিবারের সদস্যকে বাঁচানো যেত। ঠিকঠাক ব্যবস্থা ছিল না সৎসঙ্গে।" 


নীতিন কুমার। তিনি জানাচ্ছেন, তাঁর মা শান্তি দেবীর সঙ্গে তিনি সৎসঙ্গে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ঘটনার সময় আলাদা হয়ে যান। নীতিন বলেন, "আমার মা মারা গেছে। আমরা একসঙ্গে সৎসঙ্গে গিয়েছিলাম। সৎসঙ্গে আমরা আলাদ হয়ে যাই। আমি অনুষ্ঠান থেকে আগেই চলে এসেছিলাম। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পর জানতে পারি পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে। মা-কে খুঁজতে যাই। কিছুক্ষণ পর জানতে পারি, মা-কে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ভাই হাসপাতালে গিয়ে দেখে মা মারা গেছে।"


এদিকে হাথরসের শোকার্তদের সঙ্গে দেখা করার পর রাহুল বলেন, "দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অনেক মানুষ মারা গেছেন। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে চাইছি না, কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে ঘাটতি রয়েছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ওঁদের যতটা বেশি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারণ এরা গরিব পরিবার। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আমার অনুরোধ, খোলা মনে এঁদের ক্ষতিপূরণ দিন। আর যদি ক্ষতিপূরণ দিতে দেরি হয় তাহলে কারও লাভ হবে না। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কথা হয়েছে। ওঁরা আমায় জানিয়েছেন পুলিশি কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ওঁরা স্তম্ভিত। আমি শুধু ওঁদের পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলাম।"


 






আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।