নয়াদিল্লি: লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তাণ্ডবের দিন লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন তিনিও। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। সংসদের নিরাপত্তায় গাফিলতির জন্য একদিকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন যেমন, তেমনই অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য নিয়েও নিজের মতামত জানালেন রাহুল। রাহুলের মতে, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির জ্বালা থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিযুক্তেরা। (Lok Sabha Security Breach)


শনিবার বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন রাহুল। তিনি বলেন, "সংসদের নিরাপত্ত অবশ্যই লঙ্ঘিত হয়েছে। কিন্তু কেন হল? এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি। মোদিজির নীতির জন্য দেশের যুবসমাজ চাকরি পাচ্ছেন না। নিরাপত্তা তো লঙ্ঘিত হয়েইছে। কিন্তু এর নেপথ্য কারণ হল বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি।"


এর পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও এ নিয়ে মুখ খোলেন রাহুল। তিনি লেখেন, 'চাকরি কোথায়? দেশের যুবসমাজ হতাশ-বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে আমাদের, যুবসমাজকে চাকরি দিতে হবে। নিরাপত্তায় গাফিলতি অবশ্যই ছিল কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যাই এর নেপথ্য কারণ, যা হল, বেকারত্ব'। এর পাল্টা রাহুলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর কথায়, 'রাহুল গাঁধী কখনও হতাশ করেন না। সারাক্ষণ বাজে কথা বলেন। পরিসংখ্যান স্মরণ করিয়ে দিই, ভারতে বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশ, গত ছয় বছরে মধ্যে সবচেয়ে কম'।



আরও পড়ুন: Lok Sabha Security Breach: ‘অহেতুক রাজনীতি হচ্ছে’, লোকসভায় তাণ্ডবের ঘটনায় সাংসদদের চিঠি স্পিকারের


মালব্য যদিও বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশ বলে দাবি করেছেন, কিন্তু নভেম্বর মাসে প্রকাশিত সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (CMIE)-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু’বছরে ভারতে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকেছে। সেপ্টেম্বরে যেখানে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৭.০৯ শতাংশ, অক্টোবরে তা বেড়ে ১০.০৫ শতাংশ হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার ৬.২ থেকে বেড়ে ১০.৮২ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে তা বেড়ে ৮.৪৪ শতাংশ বেকারত্ব রয়েছে।


বুধবার সংসদ ভবনে হামলার পর অভিযুক্তরাও বেকারত্বের জ্বালার কথা তুলে ধরেন। জানান, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও চাকরি জোটেনি তাঁদের। অধিকারের কথা বলার জায়গা নেই। কণ্ঠরোধের চেষ্টা হয়। কৃষক, ছোট ব্যবসায়ীদের দুর্দশার কথাও শোনা যায় তাঁদের মুখে। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এমন পদক্ষেপ করেন বলে জিজ্ঞাসাবাদেও তদন্তকারীদের জানিয়েছেন অভিযুক্তরা।