নয়াদিল্লি: ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে সম্মানিত হলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর (Shashi Tharoor)। 'শেভলিয়র দ লা লিজিয়ঁ দ্য'অনার' সম্মান প্রদান করল ফ্রান্স সরকার। মঙ্গলবার সম্মানিত করা হল তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ শশীকে। দিল্লিতে ফ্রান্সের দূতাবাসে শশীকে সম্মানিত করেন ফরাসি সেনেটের প্রেসিডেন্ট জেরার্ড লার্চার। (Chevalier de la Legion d'honneur)


রাজনৈতিক জীবনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন শশী। পাশাপাশি লেখালেখিতেও হাতযশ রয়েছে তাঁর। তাঁর লেখা একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে এবং সেগুলি বেশ জনপ্রিয়ও। মূলত ইতিহাস, রাজনীতি নির্ভর লেখালেখিই করেন শশী। তাঁকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদানের ঘোষণা হয়েছিল ২০২২ সালের অগাস্ট মাসেই। মঙ্গলবার শেষ পর্যন্ত সম্মানিত হলেন শশী।


শশীকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান নিয়ে ফরাসি দূতাবাসের তরফে লিখিত বিবৃতি জারি করা হয়, তাতে বলা হয়, 'ইন্দো-ফরাসি সম্পর্ককে আরও গভীর করে তুলতে, আন্তর্জাতিক শান্তি ও  পারস্পরিক সহযোগিতায় যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তাঁর এবং ফ্রান্সের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে তারুরকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান করা হল'।


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: আমেথি থেকে লড়তে পারেন রাহুল গাঁধী, কী প্রতিক্রিয়া স্মৃতির ?


শশীকে সম্মান প্রদানের পর লার্চার বলেন, "কূটনীতিক, লেখক, রাজনীতিক হিসেবে নজির গড়েছেন শশী। জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তার নিরিখে একজীবনেই নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। নিজের দেশ ভারত তো বটেই, পৃথিবীকে সকলের জন্য উৎকর্ষ করে তুলতে নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের সত্যিকারের বন্ধু শশী। ফ্রান্সের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি।"


সম্মান গ্রহণ করে তারুর বলেন, "ফ্রান্স, ফ্রান্সের নাগরিক, তাঁদের ভাষা, সংস্কৃতি, বিশেষ করে ফ্রান্সের সাহিত্য এবং সিনেমার গুণমুগ্ধ আমি। সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেয়ে অভিভূত। এই সম্মান ইন্দো-ফরাসি গভীর বন্ধুত্বের পরিচয়, যা দীর্ঘকাল স্থায়ী হবে বলে আশা আমার। আগামী দিনেও এই সম্পর্কে ধরে রাখার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাব।"


১৮০২ সালে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান  'শেভলিয়র দ লা লিজিয়ঁ দ্য'অনার'-এর সূচনা করেন। এই সম্মান প্রদানের ক্ষেত্রে নাগরিকত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় না। যে কোনও দেশের কৃতি ব্যক্তিকেই এই সম্মান প্রদান করা হয়। শশীকে সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতে মোতায়েন ফরাসি রাষ্ট্রদূত তিয়েরি ম্যাথু, অমিতাভ কান্ত এবং কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা-সহ অনেকে।