নয়াদিল্লি: মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সংসদে স্বামীর স্মৃতিচারণা করলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)। জানালেন, নির্বাচনী রাজনীতিতে মহিলাদের সংরক্ষণ দিতে রাজীব গাঁধীই (Rajiv Gandhi) প্রথম উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় সংখ্যায় কম হওয়ায়, রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়নি সেই সময়। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনার দিন তাই তাঁর কাছে আবেগপূর্ণ বলে জানালেন। (Women's Reservation Bill)


দেশের সংসদ এবং বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে নয়া বিল এনেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মঙ্গলবারই সেই বিল সংসদে পেশ হয়। নির্বাচনী রাজনীতিতে মহিলাদের সংরক্ষণ দেওয়ার কথা প্রথম কারা ভেবেছিল, তা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে তরজা শুরু হয় সরকারের। ইউপিএ আমলের বিলকে নিজেদের বলে বিজেপি চালাতে চাইছে, এমন অভিযোগ করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।  


বুধবার সংসদে বিলটি নিয়ে সাত ঘণ্টা ধরে তর্ক-বিতর্ক চলার কথা। এদিন তার সূচনা করেন সনিয়া। সংসদে তিনি বলেন, "ব্যক্তিগত ভাবে আমার জন্য এই দিনটি অত্যন্ত আবেগের। কারণ স্থানীয় নির্বাচনে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ করে দিতে আমার জীবনসঙ্গী রাজীব গাঁধীই প্রথম সংবিধানে সংশোধন ঘটাতে উদ্যোগী হন। কিন্তু রাজ্যসভায় মাত্র সাতটি ভোটে বিলটি পাস হয়নি। এর পর পিভি নরসিংহ রাওয়ের নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার রাজ্যসভায় বিলটি পাস করায়। তার ফল মেলে হাতেনাতে। আজ দেশের স্থানীয় প্রশাসনে ১৫ লক্ষ নির্বাচিত মহিলা জনপ্রিতিনিধি রয়েছেন। কিন্তু রাজীব গাঁধীজির স্বপ্ন অর্ধেকই পূরণ হয়েছে। এই বিল পাস হলে, তা সম্পূর্ণ রূপে পূরণ হবে।"



আরও পড়ুন: Indian Constitution Preamble: বাদ গিয়েছে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’, ‘সমাজতন্ত্র’! সাংসদদের হাতে ‘নতুন’ সংবিধান, জানালেন অধীর


মহিলা সংরক্ষণ বিলে কংগ্রেসের সমর্থন রয়েছে বলে জানান সনিয়া। কিন্তু বিল পাস হলেই, আইন কার্যকর হচ্ছে না। বরং তার জন্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিল পাস করানোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সনিয়া। শুধু বিল পাস নয়, যত শীঘ্র সম্ভব তাকে আইনে পরিণত করার পাশাপাশি, তাতে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলাদের সংরক্ষণ দেওয়ার দাবিও তোলেন সনিয়া। জাতিভিত্তিক জনগণনারও দাবি জানান তিনি। 


সনিয়ার বক্তব্য, "কংগ্রেসের তরফ থেকে আমি নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়মে সমর্থন জানাচ্ছি। ধোঁয়ায় ভর্তি রান্নাঘর থেকে জলমগ্ন স্টেডিয়াম, ভারতীয় মেয়েরা দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসেছে। এতদিনে লক্ষ্যে পৌঁছনো গেল।"