নয়াদিল্লি : ২০০৫ থেকে ২০২৩। প্রায় ১৮ বছরের 'আস্তানা' ! আদালতের রায়ে যা খোয়াতে হয়েছিল নিমেষে। মাঝে প্রায় সাড়ে চার মাসের 'শাস্তিপর্বে' ঠাঁই হয়নি এই বাংলোয়। 'মোদি পদবি' (Modi Surname) বিতর্ক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সুরাট আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় প্রথমে সাংসদ পদ পর, আর এবার সেই সরকারি বাংলো ফিরে পেলেন রাহুল গাঁধী। ১২, তুঘলক লেকে তাঁর পুরনো বাংলো ওয়েনাড়ের সাংসদকে ফিরিয়ে দিল লোকসভার হাউসিং কমিটি। যদিও বাংলো ফিরে পাওয়ার পর কংগ্রেস সাংসদের প্রতিক্রিয়া, 'গোটা ভারত আমার বাড়ি।' 


অপরাধমূলক মানহানি মামলায় সুরাটের আদালতের রায়ের জেরে গত মার্চ মাসে সাংসদ পদ হারান রাহুল। এরপর প্রোটোকল মেনে দক্ষিণ দিল্লিতে ১২, তুঘলক লেনে তাঁর জন্য বরাদ্দের সরকারি বাংলো ফাঁকা করে দেন কংগ্রেস নেতা। কারণ, বরখাস্ত হওয়া কোনও সাংসদকে সরকারি বাসস্থান দেওয়া হয় না। সরকারি বাসস্থান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল রাহুলকে। ২০০৫ সাল থেকে এই বাংলোতেই ছিলেন তিনি। লোকসভার হাউসিং কমিটি তাঁকে তা ফাঁকা করে দিতে বলে।


বাংলো থেকে বেরনোর সময় রাহুল বলেছিলেন, "সত্যিটা বলার জন্য আমাকে "শাস্তি" দেওয়া হয়েছে। আমি এই বাড়িতে আর এক মুহূর্তও থাকতে চাই না, কারণ ভারতের মানুষের দেওয়া এই বাসস্থান ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।" দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সুরাট আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। যদিও শীর্ষ আদালত এটাও উল্লেখ করে যে, তাঁর (রাহুলের) মন্তব্য কোনও সুরুচির পরিচয় দেয় না। সংসদ থেকে তাঁর বরখাস্ত হওয়া তাঁর কেন্দ্রের উপর প্রভাব ফেলবে।


আদালতের নির্দেশের পর লোকসভায় প্রত্যাবর্তন হয়েছে রাহুলের। তাও আবার এমন একটা সময়ে যখন বিরোধী শিবির INDIA নাগাড়ে সংসদে মণিপুর অশান্তি নিয়ে আলোচনা এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবিতে সরব হয়েছে। 


২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের (Karnataka) কোলারে জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করতে গিয়ে 'মোদি পদবি' নিয়ে মন্তব্য করেন রাহুল। তিনি বলেন, 'সব চোরের পদবি কেন মোদি হয় ?' তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি। এনিয়ে মামলাও হয়। যে মামলার রায়ে কংগ্রেস নেতাকে দুই বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার জেরে মার্চ মাসে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল রাহুলকে।