নয়াদিল্লি: আজ আজমেঢ়ের যেখানে 'আড়াই দিন কা ঝোপড়া' (Ajmer Mosque Controversy) মসজিদ, সেখানে একসময়ে সংস্কৃত শিক্ষার টোল এবং জৈন মন্দির ছিল--দাবি করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা এবং জৈন সন্ন্যাসীরা।  ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থা সংরক্ষিত ওই মসজিদটি মঙ্গলবারই পরিদর্শন করেন তাঁরা। তার পর, তাঁদের দাবি ঘিরে নতুন করে আলোড়ন নানা মহলে।


বিশদ...
সুনীল সাগর মহারাজের নেতৃত্বে, ফওয়ারা সার্কেল থেকে দরগা বাজার হয়ে সেখানে পৌঁছয় সন্ন্যাসীদেল দল। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১১৯৯ ক্রিস্টাব্দে, সুলতান বংশের প্রথম সুলতান কুতব-উদ-দিন-আইবক মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। বয়সের নিরিখে দেখলে দিল্লির কুতুব মিনার চত্বরের সমসাময়িক এটি। 'কুওয়ল-উল-ইসলাম' নামেও এই মসজিদটির পরিচিতি রয়েছে। ১২১৩ সালে, সুলতান ইলতুৎমিস এটির সৌন্দর্যায়ন করেছিলেন বলেও জানা যায়। এর 'আড়াই দিন কা ঝোপড়া' নামটি সম্ভবত স্থানীয় একটি মেলার নাম থেকে নেওয়া হয়েছিল, ধারণা ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থার। এখানকার স্থানীয় মেলা আড়াই দিন ধরে চলত। সেখান থেকে মসজিদটির নাম হয় 'আড়াই দিন কা ঝোপড়া'। এএসআইয়ের মতে, নিরাপত্তার জন্য এই মসজিদ চত্বরের বারান্দার অংশে স্থাপত্যের এমন বহু নির্দশন রেখে দেওয়া হয়েছে যা দেখে ওই চত্বরে অতীতের হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্বের কথা টের পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সেই দাবি নিয়ে এতদিন বাদে হঠাৎ সরব কেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং জৈন সন্ন্যাসীরা? আজমেঢ় মিউনিসপাল কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র নীরজ জৈন অবশ্য় জানালেন, 'আড়াই দিন কা ঝোপড়া'-র পুনরুন্নয়নের দাবি অতীতেও শোনা গিয়েছে। তাঁর মতে, 'এই মিনারের স্টোর রুমে বিগ্রহগুলি রাখা রয়েছে।' 


প্রেক্ষাপট...
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এখনও মামলা চলছে। এর মধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি, জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা বেসমেন্ট বা ‘ব্যাস কি তহখানা’তে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল বারাণসী আদালত। সেই নির্দেশানুসারে, জ্ঞানবাপী মসজিদের ব্যাসের 'তহখানায়' সমস্ত উপাচার শুরু হয়। তা নিয়ে আপত্তি তোলে মসজিদের দায়িত্বে থাকা অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। ইলাহাবাদ হাইকোর্টে যায় তারা। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষাশেষি সেই আর্জি খারিজ করে দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি। তার ঠিক তিনদিনের মাথায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়। জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে একটি বিশাল মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন। তাঁর এই দাবির পর হইচই পড়ে যায়।  এরপর গত ৩১ জানুয়ারি জ্ঞানবাপী মসজিদের  'ব্যাস কি তহখানা'তে হিন্দুদের পুজো করার অনুমতি দেয় বারাণসী আদালত। 


আরও পড়ুন:মাস্কে মুখ ঢেকেও হল না শেষরক্ষা, মেট্রো-সফরে 'আম-দরবার' কার্তিক আরিয়ানের