শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: চোরাপথে ভারতে ঢুকে মুম্বইয়ে কাজের খোঁজ। ধরপাকড় শুরু হতেই বাংলাদেশে (Bangladeshi Arrest) ফেরার চেষ্টা অনুুপ্রবেশকারীদের। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে BSF-এর হাতে আটক বাংলাদেশের ৬ জন নাগরিক। এক ভারতীয় দালাল-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ।


আটক বাংলাদেশের ৬ নাগরিক: বাংলাদেশ যখন অশান্ত, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অনুপ্রবেশ-সমস্য়া। সোমবার রাতে মেখলিগঞ্জের ভোটবাড়ির কৃষি ফার্ম এলাকায় সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশের বাসিন্দা এক দম্পতি ও তাঁদের দুই সন্তান এবং আরও দুই বাংলাদেশের নাগরিককে আটক করে BSF। একই সঙ্গে আটক করা হয় মিঠুন রায় নামে এক ভারতীয় দালালকে। গতকাল মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা বাংলাদেশের নড়াইল জেলার বাসিন্দা। চোরাপথে ভারতে ঢুকে কাজের খোঁজে মুম্বইয়ে গেছিল।  ধরপাকড় শুরু হতেই এরা বাংলাদেশে ফেরার জন্য মেখলিগঞ্জে আসে। ওই দম্পতি ও তাঁদের দুই সন্তানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। 


গত সপ্তাহে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে বাংলাদেশের ২ নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আজমিরা খাতুন ও শিরিনা খাতুন যশোরের বাসিন্দা। মাসকয়েক আগে চোরাপথে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ভারতে ঢোকেন। এরপর পরিচারিকার কাজ নিয়ে পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে। ফের চোরাপথে দেশে ফেরার জন্য বাগদায় এসে গ্রেফতার হন। সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে, BSF-এর অভিযানে ধরা পড়েন রাজশাহির ৩ বাসিন্দা। যাঁরা দক্ষিণ ভারতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন।  উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকেও সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার সময় দুলাল শেখ ও পারুল বেগম নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ।  ধৃতরা ছিলেন বাংলাদেশের বাগেরহাটের বাসিন্দা। এবারও সেই বাগদা থেকেই গ্রেফতার হলেন আরও দুই মহিলা অনুপ্রবেশকারী। 


শুধু অবশ্য় পশ্চিমবঙ্গ নয়, গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রেও গ্রেফতার করা হয়েছে অবৈধভাবে এপারে আসা ৪৩ জন বাংলাদেশিকে। মহারাষ্ট্র পুলিশের ATS অভিযান চালিয়ে তাদের পাকড়াও করেছে। ATS সূত্রে দাবি, গত ৪ দিন ধরে মুম্বই, ছত্রপতি শম্ভাজিনগর, নাসিক এবং নান্দেড়ে অভিযান চালিয়ে ৯ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র ছিল না। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের সমস্য়া মাথাচাড়া দেওয়ায়, ইতিমধ্যেই ‘বাংলাদেশ সেল’ ফিরিয়ে এনেছে দিল্লি পুলিশ।  অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের খুঁজতে স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Malda News: সীমান্তে ফেন্সিং দেওয়া নিয়ে ধুন্ধুমার, কেন আপত্তি বাংলাদেশের?