সিডনি: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তুমুল চর্চা হয়েছিল যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) সঙ্গে অজি টিনেজার স্যাম কনস্টাসের (Sam Konstas) সংঘাত নিয়ে। যে লড়াই শুরু হয়েছিল মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম ইনিংসে। বুমরাকে ছক ভেঙে আক্রমণ করে রিভার্স স্কুপ শটে বাউন্ডারি মেরেছিলেন কনস্টাস। বুমরার এক ওভারে জোড়া ছক্কা মেরে জো রুটের কীর্তি স্পর্শ করেছিলেন কনস্টাস।

 

তার ফলও ভোগ করতে হয়েছিল কনস্টাসকে। দ্বিতীয় ইনিংসেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন বুমরা। লড়াই গড়িয়েছিল সিডনিতেও। সেখানেও বুমরা বনাম কনস্টাস উপভোগ্য লড়াই হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে কনস্টাস বুমরাকে উত্যক্ত করেন। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাওয়াজাকে আউট করে যেন সেই ক্ষোভ পুষিয়ে নেন বুমরা।

 

বর্ডার গাওস্কর সিরিজ শেষ হওয়ার পর কনস্টাস স্বীকার করে নিলেন যে, বুমরাকে রাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি। সিডনিতে যার খেসারত দিতে হয়েছিল তাঁর সতীর্থ খাওয়াজাকে। বুমরা ও খাওয়াজার মধ্যে কথাবার্তায় নাক গলিয়েছিলেন কনস্টাস। তাতেই মেজাজ হারান বুমরা। পরের বলেই তিনি খাওয়াজার উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। যে ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন কনস্টাস।

 

একটি সাক্ষাৎকারে কনস্টাস বলেছেন, 'আমার ওপর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। কিন্তু উজি আউট হয়ে যায়। ও চাইছিল ক্রিজে আর একটু সময় কাটাতে। হয়তো আমারই ভুল ছিল। তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এটাই ক্রিকেট। বুমরাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ও উইকেটটা পেয়েছিল। তবে দল হিসাবে আমরা দারুণ খেলেছিলাম।'


আরও পড়ুন: দেওয়ালে মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা ছবি, চোখ ধাঁধানো ডাইনিং টেবিল! এক ঝলকে কপিল দেবের বাড়ি


অস্ট্রেলিয়া দলে দীর্ঘদিন ধরেই ডেভিড ওয়ার্নারের বিকল্প হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতেন কনস্টাস। যাঁর পরিবারের দুজন প্রাণ হারিয়েছেন মারণ রোগ ক্যান্সারে। যে কারণে সিডনিতে 'পিঙ্ক টেস্ট' কনস্টাসের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ক্যান্সার রোগীদের জন্য তহবিল তৈরি করা হয় এই টেস্ট থেকে। গ্লেন ম্যাকগ্রার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হয় গোটা ব্যবস্থা।

 

কনস্টাস বলেছেন, 'অবশ্যই এটা বিশেষ একটা টেস্ট ম্যাচ। ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন আর আমরা সকলে মিলে নিশ্চয়ই ক্যান্সার নিয়ে আরও বেশি সচেতনতা তৈরি করতে পারব। তহবিল তৈরি করতে পারব। কারণ আমার খুড়তুতো ভাই লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল। আমার ঠাকুরদাও।'