পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পর্যটকরা ভিন্ন ভিন্ন দেশের। কিন্তু ২৪ মার্চ থেকে তাঁরা থাকছিলেন একসঙ্গেই ওই গুহার মধ্যে। ফ্রান্স, আমেরিকা, ইউক্রেন, তুরস্ক, নেপাল থেকে আসা ওই পর্যটকদের পাঠানো হয়েছে হৃষিকেশের স্বর্গ আশ্রমে। তাঁদের সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। যদিও এখনও অবধি কারও শরীরে সংক্রংমণের লক্ষণ চোখে পড়েনি।
কিন্তু এত জায়গা থাকতে গুহায় কেন? এক পর্যটক জানালেন, লকডাউন ঘোষণার আগেই তাঁরা বেড়াতে আসেন। কিন্তু তারপর বন্ধ হয়ে যায় সবকিছু। বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে হোটেলে থাকার পুঁজিও শেষ হয়ে আসতে থাকে তাঁদের। তাই খাবার-দাবারের পয়সাটুকু বাঁচিয়ে রেখে হোটেল ছাড়েন তাঁরা। তারপরই এই পর্যটকদের বাসস্থান গুহা।
১৫ এপ্রিল লকডাউন উঠে যাবে, এই আশাতেই বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু মেয়াদ ৩ মে অবধি বেড়ে যাওয়ায় আরও পুঁজিতে টান পড়ে। এমত অবস্থায় গুহায় থাকা ছাড়া কোনও গতি ছিল না। জানালেন এক পর্যটক। শুধু এঁরা নন, প্রায় ৭০০ বিদেশি পর্যটক আটকে হৃষিকেশে। তাঁরা নাকি একটি ওয়েবসাইটও লঞ্চ করেছে লকডাউনে ভারতে আটকে পড়া বিদেশিদের সাহায্য করার জন্য।