জালনা(মহারাষ্ট্র) : করোনার কারণে দীর্ঘদিন থমকে থেকেছে চাকা। ফলে, ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কেন্দ্রীয় কোষাগারের। সেই পরিমাণটা নেহাত কম নয়। প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে রেলের। তবে, এই সময়ের মধ্য়ে মালবাহী ট্রেন থেকে আয় হয়েছে। রবিবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাওসাহেব দানবে। তিনি জানান, মুম্বই-নাগপুর এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর একটি বুলেট ট্রেন প্রোজেক্ট করা হবে।


মহারাষ্ট্রের জালনা রেলস্টেশনের একটি আন্ডারব্রিজ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন। জানান, যাত্রীবাহী ট্রেন সবসময় ক্ষতিতে চলে। যেহেতু টিকিটের দাম বাড়ানো হলে যাত্রীদের সমস্যা হবে, তাই তা করা হয় না। অতিমারির সময়ে রেলের ৩৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুধুমাত্র মালবাহী ট্রেন থেকে রাজস্ব এসেছে। অতিমারির সময়ে, এই ট্রেনগুলি মাল বহন করে মানুষকে স্বস্তি দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।


বুলেট ট্রেন নিয়ে তিনি বলেন, মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে মুম্বই-নাগপুর এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর এই প্রোজেক্টটি হবে। রেলওয়ের তরফে ওয়েস্টার্ন ফ্রেইট করিডর প্রোজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। যা নভি মুম্বইকে দিল্লিকে সংযুক্ত করবে। 


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যাত্রীদের জন্য 'রেল মদদ' হেল্পলাইন এনেছে ভারতীয় রেল। অতীতের সব হেল্পলাইন জুড়ে দেওয়া হয়েছে নতুন নম্বরে। ফলে বিপদে পড়লে '১৩৯' নম্বর ডায়াল করলেই মিলবে মুক্তি। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, অতীতে সুরক্ষা, অভিযোগ ও তথ্য জনার জন্য আলাদা আলাদা নম্বরে ডায়াল করতে হত যাত্রীদের। এবার থেকে '১৩৯' নম্বরে ফোন করলেই সব সমাধান সম্ভব। হিন্দি, ইংরেজি ছাড়াও মোট ১২টি ভাষায় রেলের নতুন হেল্পলাইনে কথা বলতে পারবেন যাত্রীরা।


রেলের দাবি, এর মাধ্যমে একাধারে অভিযোগ, পরামর্শ ছাড়াও সুরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য 'রেল মদদ' থেকে জানাতে পারবেন তাঁরা। ২৪ ঘণ্টা পাওয়া যাবে এই যাত্রী পরিষেবা। তবে শুধু হেল্পলাইন নম্বরই নয়, বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে যাত্রীদের 'রেল মদদ' পরিষেবা দেবে ভারতীয় রেল। ওয়েবসাইট, অ্যাপ, এসএমএস, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে 'রেল মদদ' পাবেন যাত্রীরা।