নয়াদিল্লি: গন্তব্য বহু দূর। শুরুটা হয়েছিল সাহারানপুরে। পৌঁছতে হবে বুলন্দশহর। হাঁটা হয়ে গিয়েছে ১০০ কিলোমিটার। নেই খাবার। শুধু এইটুকুই সংকল্প, ঘরে ফিরতে হবে। শরীরে বাড়ছে ছোট্ট প্রাণ। মাসখানেক পরই পৃথিবীতে আসবে সে। তাকে নিয়েই পৌঁছতে হবে গ্রামের বাড়ি।
চাকরি গেছে ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা মেয়েটির স্বামীর। নেই খাবারের সংস্থান। বর্তমান, আগামী সবই অনিশ্চিত।
১০০ কিলেমিটার পথ পার করার পর মেরঠে মিলল অ্যাম্বুলেন্স।
সুদীর্ঘ পথ হেঁটে শরীর আর সঙ্গ দিচ্ছিল না। শোহরাব গেট বাসস্ট্যান্ডে এসে বসে পড়েন তাঁরা। তখনই স্থানীয় দুই ব্যক্তি তাঁদের দেখতে পান।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই স্থানীয় ব্যক্তিই তাঁদের খেতে দেন। অল্প কিছু টাকাও দেন। অ্যাম্বুলেন্সও জোগাড় করে দেন বাকি পথে পার করার জন্য।
শাহরানপুর থেকে আসা ওয়াকিল নামের ওই ব্যক্তি এক কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু লকডাউনের পরিস্থিতিতে চাকরি চলে যায় তাঁর। তারপরই মালিক তাঁদের রাতারাতি ঘর ছাড়তে বলে। মাথার উপর ছাদ আর চাকরি দুই-ই হারিয়ে গ্রামে ফেরা ছাড়া আর পথ ছিল না তাঁদের। তারপরই সুদীর্ঘ পথ হাঁটা শুরু। মাত্র দুদিনে গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে পার করেন ১০০ কিমি রাস্তা।
রবিবার রেডিয়োর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ক্ষমা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সমস্ত দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার আত্মা বলছে, আপনারা নিশ্চয় ক্ষমা করবেন। এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যার জেরে আপনাদের হাজারো অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।… বিশেষত অনেক গরিব ভাই-বোন নিশ্চয় ভাবছেন, এ কেমন করলেন প্রধানমন্ত্রী, আমাদের এত কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিলেন!”