নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। সেই সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে ভ্যাকসিনের। আর তাই এবার ভারত বায়োটেকের পাশে দাঁড়াবে বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারক সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
আজ, শুক্রবার কেন্দ্রের বায়োটেকনলজি বিভাগের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আর্থিকভাবে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত বায়োটেককে ৬৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে।
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশজুড়ে টিককরণে ছাড়পত্র দেওয়া হয় কোভ্যাক্সিনকে। এবার কেন্দ্রের আত্মনির্ভর ভারত ৩ মিশন কোভিড সুরক্ষার আওতায় আর্থিক সাহায্য করা হবে ভারত বায়োটেককে। যাতে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে আরও বেশি টিকা উৎপাদন করা যায়।
কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে যত সংখ্যক কোভ্যাক্সিন উৎপাদন করা হয় তার দ্বিগুণ উৎপাদন হবে মে-জুন মাসে। ৬ থেকে ৭ গুণ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে জুলাই-অগাস্ট মাসে। সরকারের আশা চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ১০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে ভারত বায়োটেক। সরকার জানিয়েছে ভারত বায়োটেকে বেঙ্গালুরু শাখায় ৬৫ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সেখানেই তৈরি হবে ভ্যাকসিন।
ভারত বায়োটেক ছাড়াও মুম্বইয়ের হফকিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কর্পোরেশন লিমিটেডকেও ৬৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা জানিয়েছে, এই উৎপাদনের কাজ শেষ করতে প্রায় একবছর সময় লাগবে। যদিও তাদের ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র জানিয়েছে, হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যাল লিমিটেড, ভারত ইমিউনোলজিক্যাল এন্ড বায়োলজিক্যাল লিমিটেডকে সরকার সাহায্য করবে। যাতে আগামী অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে তারা।
আজ, শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড পজিটিভ রোগী ধরা পড়েছে ২,১৭,৩৫৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১৮৫ জনের ৷ পাশাপাশি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১,১৮,৩০২ জন ৷ সব মিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪২,৯১,৯১৭ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৬৯,৭৪৩ জন।