সন্দীপ সরকার, কলকাতা: আগামী ১ মার্চ থেকে দেশে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের দেওয়া হবে টিকা। ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরাও টিকা পাবেন। ইতিমধ্যে রাজ্যে প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০০ জন করে ভোটকর্মীকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২৫ জনের। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৬০ জনের। এত প্রাণ চলে গিয়েছে করোনায়। এই পরিস্থিতিতে দেশে আগামী ১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের করোনার টিকাকরণের প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ায় ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের নাগরিকদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সের যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরও দেওয়া হবে টিকা। তবে কোমর্বিডিটির ক্ষেত্রে চিকিত্সকের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
কীভাবে দেওয়া হবে টিকা, তা নিয়ে শুক্রবার সব রাজ্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা। তিনটি পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্রে খবর, পরিচয়পত্র নথি দিয়ে কো উইন অ্যাপ ডাউনলোড করে তালিকায় নাম তোলা যাবে। বাড়ির কাছের টিকাকেন্দ্রে গিয়ে লেখানো যাবে নাম। স্বাস্থ্য দফতরের এলাকাভিত্তিক ক্যাম্পে গিয়েও নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন আগ্রহীরা। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে গেলে টিকার দামের সঙ্গে দিতে হবে ১০০ টাকা করে রেজিস্ট্রেশন ফি। তবে মুখ্যমন্ত্রী গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তিনি টিকা কিনে রাজ্যবাসীকে তা বিনামূল্যে দিতে চান। সেক্ষেত্রে এ রাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালে টিকার দাম দিতে হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরইমধ্যে রাজ্যে ভোটকর্মীদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০০ জন করে ভোটকর্মীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে কো উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে ভোট কর্মীদের। কোভিশিল্ড-এর ২টি ডোজ ২৮ দিনের ব্যবধানে রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ ভোটকর্মীকে দেওয়া হবে।
গত ১৬ জানুয়ারি দেশে প্রথম পর্যায়ে টিকা দেওয়া শুরু হয় চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীদের দেওয়া হয় টিকা। এবার নির্দিষ্ট এজ গ্রুপে সাধারণের জন্য শুরু হতে চলেছে তৃতীয় পর্যায়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া।