নয়াদিল্লি: শিশুদের উপর কোভোভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অনিশ্চয়তা। বড় ধাক্কা পুনের সিরাম ইন্সটিটিউটের। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটি, ২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে কোভোভ্যাক্সের দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এই ভ্যাকসিনকে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে শিশুদের উপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সিরাম ইন্সটিটিউটকে এই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দিতে হবে। সুরক্ষার বিষয়ে কী ব্যবস্থা, সেটাও জানাতে হবে পুনের সংস্থাকে। উল্লেখ্য, সোমবারই শিশুদের উপর কোভোভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই- এর কাছে আবেদন করেছিল সিরাম।


সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞ কমিটি এই ভ্যাকসিন অন্য কোনও দেশের ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে তারা সাফ জানিয়েছে, পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটকে জানাতে কোভোভ্যাক্সের ব্যবহারের সুরক্ষার বিষয়টিও। বর্তমানে ১৮ ঊর্ধ্বদের উপর যে ক্লিনিক্যাল হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করেই এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে। চলতি সপ্তাহে ডিজিসিআইয়ের কাছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে। যেখানে বলা হয়, ৯২০ জন শিশুর উপর এই ট্রায়াল করতে চায় সংস্থা। যার  মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী রয়েছে ৪৬০ জন, ২ থেকে ১১ বছর রয়েছে আরও ৪৬০ জন। দেশের ১০ টি জায়গায় এই ট্রায়াল করতে চেয়েও আবেদন করেছে সংস্থা।


নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতি শুরু করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এই ভ্যাকসিনের নাম কোভোভ্যাক্স। গত শুক্রবার সিরাম ইনস্টিটিউট জানায়, কোভোভাক্স ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে সিরাম ইনস্টিটিউট। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে আগেই নোভাভ্যাক্সের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী তাদের তৈরি ভ্যাকসিন। তারা দাবি করে, ট্রায়ালে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণে প্রতিরোধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এই ভ্যাকসিন।