লন্ডন : মহামারী পর্বের বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু, এখনও বিধি-নিষেধের বেড়াজালে আটকে মানুষ। কতদিন কাছের মানুষকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন হয় না! সামাজিক দূরত্বের জেরে কাছের মানুষদের স্পর্শও এখন দুর্লভ। কিন্তু, কিছুটা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ইংল্যান্ডে। লকডাউনের বিধি-নিষেধও পরের ধাপে একটু সহজ করার পথে ব্রিটেন। এর সাথে সাথে আলিঙ্গনেও আসছে ছাড়। তবে, আলিঙ্গনের সময় সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।


ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাডিন ডরিস জানান, ১৭ মে থেকে বিধি-নিষেধ কমানো হচ্ছে। ওই সময় বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গন করতে পারবেন। কিন্তু, সতর্ক থাকতে হবে।


ঘরের মধ্যে ছয়জন পর্যন্ত বা দুটি বাড়ির সদস্যরা একসঙ্গে বসে ডিনার করতে পারবেন। সিনেমা হল, গ্যালারি এবং অন্যান্য ক্ষেত্র পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। বিদেশ যাত্রাও শুরু হচ্ছে। এছাড়া "সবুজ তালিকাভুক্ত" দেশগুলি থেকে কেউ ফিরলে তাঁকে সেল্ফ আইসোলেশনে যেতে হবে না।


গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইংল্যান্ডে সংক্রমণ কমছে। এর পাশাপাশি সেদেশের দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্ত বয়স্ক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। যদিও নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মূলত, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। কারণ, ধীরে ধীরে বিধি-নিষেধ উঠছে এবং আন্তর্জাতিক উড়ানও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে।


"সাবধানে আলিঙ্গন"-এর অর্থ কী ? একটি সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের উত্তরে ডরিস বলেন, "আমার মনে হয় না সতর্কভাবে আলিঙ্গন করা যায়। বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের উদ্বেগ রয়েছে। যেসব এলাকায় এইসব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে এবং যেখানে এই ভ্যারিয়েন্ট সমস্যায় ফেলতে পারে, সেখানে পরীক্ষা বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। আমরা বুঝতে পারছি যে সবাই একসঙ্গে হতে চাইছেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে চাইছেন। নিজেদের বাড়িতে মেতে উঠতে চাইছেন। এবং এটা খুব গুরুত্বপূর্ণও। এক্ষেত্রে সাবধানতা দরকার। কারণ, ইংল্যান্ডে এখনও মহামারী শেষ হয়নি। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মহামারীর গ্রাস রয়েছে।"