নয়াদিল্লি: দফায় করোনা ত্রাস চলছে সারা দেশে। আর এই আবহে তরুণ প্রজন্মের আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। গত বছরের থেকে যা তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু কেন এই প্রবণতা? কেন দ্বিতীয় ঢেউয়ের তরুণদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ল? এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের বলরাম ভার্গব বলেন, মূলত দুটি কারণ রয়েছে এর পিছনে।


আইসিএমআর-এর প্রধান বলেন, দেখা গিয়েছে যে, সংক্রমণ সংখ্যা সামান্য কমতেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাইরে বেরোনোর প্রবণতা বাড়তে শুরু করে। ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন তাই অনেক বেশি তরুণদের সংক্রমিত করছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে সরকারের কোনও পরিকল্পনা আছে কি না। এ প্রসঙ্গে ভার্গব বলেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে সময়ের তফাৎ খুব বেশি নয়। আমরা গত বছর অগাস্ট মাস থেকে তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করছি। ৪৫ ঊর্ধ্বদের আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুহার অনেক বেশি। যা শতাংশের হিসেবে ৯.৬ থেকে ৯.৭ শতাংশ।


উল্লেখ্য, চলতি বছর মার্চ মাসে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে মার্চ মাসে। এপ্রিল মাসে কেন্দ্র তথ্য দিয়ে জানায়, প্রথম ঢেউয়ে ৩০ বছরের কম বয়সীদের আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল ৩১ শতাংশ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ। এদিকে আগেই তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য দেশকে প্রস্তুত হতে বলেছে কে বিজয় রাঘবন। এই পর্বে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে এই খবর সামনে আসতেই অনেকেই মনে করছে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এই পর্বে। তৃতীয় দফার প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে শিশুদের বিশেষ যত্নের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কেন্দ্র চালু করছে মহারাষ্ট্র সরকার।


 এদিকে, ভারতে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। দৈনিক মৃত্যুতে বিশ্বে ফের সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল ভারত। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আবারও চার হাজার ছাড়াল। বাড়ল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাও।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪২১ জন।  দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৩৮।