কলকাতা: বাদুড়ের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিস্ত্ব  সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রাণিটিকে ঘিরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর এলাকায় বহু বাদুড়কে একসঙ্গে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমবাগানে একসঙ্গে এত বাদুড়ের মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয় এলাকায়। করোনার সঙ্গে বাদুড়-মৃত্যু ঘিরে নানারকম গুজব ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এই জল্পনার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মৃত বাদুড়গুলিকে পরীক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে বন দফতর। অনেকে আবার মনে করছেন অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণেই এই ঘটনা। তাই স্থানীয়রা পশুপক্ষীদের জন্য পাত্র ভরে জল রাখতে শুরু করেছেন। 
বন দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন,  ইন্ডিয়ান ভেটারনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট একসঙ্গে ৫০ টিরও বেশি বাদুড়ের দেহ পরীক্ষা করে দেখছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তাপপ্রবাহই বাদুড়গুলির মৃত্যুর কারণ। 
প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক পিএইচ পাঠকের ধারণা, হোয়াইট নোজ সিনড্রোম নামক অসুখ থেকেও বাদুড় দলের মৃত্যু হতে পারে।
অন্যদিকে বিহার সরকারের পশুপালন দফতর জানিয়েছে,  ভোজপুরের আরা এলাকায় বহু বাদুড়ের একসঙ্গে মৃত্যু ঘটেছে। পটনার পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পরই জানা যাবে বাদুড়গুলির মৃত্যুর কারণ। সূত্রের খবর, আরায় একসঙ্গে দুই শত বাদুড় মারা গেছে। এখানেও করোনার সঙ্গে বাদুড়ের মৃত্যুর যোগ খুঁজছে স্থানীয়রা।
সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই  বাদুড়গুলিকে পরীক্ষার পর মাটির ৫-৬ ফুট গভীরে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এলাকাটিকে স্যানিটাইজও করা হয়েছে।