সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্বে রায়ান বলেন, আমরা ভাইরাসের দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছি। এই সময় ভাইরাসের গঠনগত পরিবর্তন হচ্ছে। যা থেকে এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত বছর ১১ মার্চ মহামারী পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ৯২ কোটির বেশি মানুয করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃ্ত্যু হয়েছে প্রায় ২ কোটি মানুষের।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে একাধিক দেশে। কিন্তু টিকাকরণ হলেও হার্ড ইমিউনিটি বা অনাক্রমতা তৈরি হবে না। সোমবার এমন আশঙ্কার কথাই শোনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, ভ্যাকসিন বাজারে এলেও এই বছর অনাক্রমতা তৈরি হবে না। মানতে হবে করোনাবিধিও।
তিনি বলেন “২০২১ সালে জনসংখ্যাগত ভাবে অনাক্রমতা বা কঠোর অনাক্রমতা তৈরি হবে না। তাই করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোওয়া, মাস্ক পরতে হবে।’’ দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন তিনি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলি টিকাকরণ শুরু করেছে। কিন্তু টিকাকরণ সম্পর্কে সন্দেহ আছে অনেকের। আবার ভাইরাস গঠনগত পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। তাই এই অবস্থায় টিকাকরণ হলেও অনাক্রমতা বা হার্ড ইমিউনিটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এদিকে আমেরিকা, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে গণ টিকাকরণ। মূলত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, বায়োএনটেক-ফাইজার, মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি। কিন্তু তা সত্বেও আশ্বস্ত হতে পারছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।