ঢাকা: করোনার প্রকোপে ২০২০ তে কাজ হারিয়েছেন সারা বিশ্বের কোটি-কোটি মানুষ। অতিমারীতে আক্রান্ত না হয়েও বহু মানুষ রোজগার হারিয়ে মরনাপন্ন। ব্যতিক্রম নয় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশও।


করোনার জেরে ভয়ঙ্কর আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ। বিশেষত ধাক্কা খেয়েছে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে দাবি,  ঢাকা ও চট্টগ্রামের শহরাঞ্চলে কর্মরত প্রায়  ৬৮ শতাংশ মানুষ অতিমারী-কালে চাকরি খুইয়েছেন।

ওই সমীক্ষা অনুসারে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতে করোনাকালে চাকরি হারানোর হার  ৭৬ শতাংশ। বন্দরশহর চট্টগ্রামে কাজ হারিয়েছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ।

ওই সমীক্ষা অনুসারে শেখ হাসিনার দেশে অর্থনৈতিক ধাক্কায় সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত মূলত বস্তি এলাকায় বসবাসকারীরা।  সেখানে কাজ হারানোর হার ৭১ শতাংশ। অপেক্ষাকৃত উন্নত এলাকায় এই হার ৬১ শতাংশ। ওই রিপোর্ট অনুসারে ঢাকা ও চট্টগ্রামেই মানুষের উপার্জনে করোনার ধাক্কা বেশি হারে পড়েছে।

দিন আনা-দিন খাওয়া মানুষদের রোজগার কমেছে ভয়াবহ হারে। ৯০ শতাংশের বেশি ব্যবসায়ীদের আয়, স্বাভাবিক কারণেই কমেছে ভয়ঙ্কর ভাবে।
দৈনিক বেতনভুক মহিলা কর্মচারীদের রোজগারে ধাক্কা লেগেছে অপেক্ষাকৃত বেশি। এর সঙ্গে তাল মেলাতে খাওয়া-খরচ কমিয়ে ফেলেছে প্রায় ৬৯ শতাংশ পরিবার।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে পরিসংখ্যানটা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে, কারণ যাঁরা লকডাউন কেটে গেলে কাজ ফিরে পাওয়ার আশা করছিলেন, তাঁদের অনেকেই আর চাকরিতে ফিরে যেতে পারেননি। এই পরিসংখ্যানে তাঁর উল্লেখ নেই।

দেখা গেছে, করোনা ও কর্মহীনতার সাড়াশি আক্রমণে ঢাকা-চট্টগ্রামে প্রতি ১০ জনের ৮ জন  মানসিক চাপ ও অসুস্থতায় ভুগছেন। অর্থনীতির গ্রাফটা না-ওঠা অবধি আরও পরিস্থিতি মন্দ হতে পারে শেখ হাসিনার দেশে।