চলতি বছরের আইপিএল-এর শেষ ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিপক্ষে ক্যাচ ছেড়েছেন দুটি। ব্যাট হাতেও রান করেছেন মাত্র ১। এর আগে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষেও ১৪ রান করেছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। স্পষ্টত মরুর বুকে রানের ঝড় নেই কোহলির ব্যাটে।
কোহলির ক্যাচ ছাড়া নিয়ে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্করের মন্তব্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তবে খারাপ সময়ে ছোটবেলার কোচকে পাশে পেয়েছেন কোহলি। তাঁর কোচ রাজকুমার শর্মা মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর ছাত্র কোহলিও মানুষ, যন্ত্র নয়।
ক্যারিয়ার জুড়ে কোহলির সাফল্যের সঙ্গেই পরিচয় বেশি হয়েছে। কিন্তু তার মানে ব্যর্থতা যে একেবারেই নেই, তা তো নয়। রাজকুমারও বলছেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের জীবনের এটি (খারাপ সময়) একটি অংশ। মাঠে আপনার সময় ভালো-খারাপ মিলিয়েই কাটবে। কোহলি নিজেকে এমন একটি মানদণ্ডে নিয়ে গেছে যে মানুষ ভুলেই যায় ও কেবলই একজন মানুষ, মেশিন নয়। আপনার খারাপ সময় যেতেই পারে এবং এখানে দোষের কিছু নেই। মানুষ প্রশ্ন তুলতে পারে, সমস্যাটা মানসিক কি না, নাকি ব্যাটিংয়ের টেকনিক্যাল সমস্যা। কিন্তু আমি আবারও বলব এটি খেলারই অংশ।’
সাধারণত কোহলি উইকেটে থাকা মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। কিন্তু এই পারফরমেন্স প্রতিটি ম্যাচে করে দেখানো সম্ভব নয়। ব্যর্থ হলেই সমর্থকেরা হতাশ হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন রাজকুমার, ‘মাঠে সব সময় আপনি সফল হতে পারবেন না। কোহলির সমর্থকেরা ওকে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে দেখেন। ও একটা ইনিংসে খারাপ করলেও তাঁরা কষ্ট পান।’
গত ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে ২০৬ রানের পাহাড় গড়েছে পাঞ্জাব। সেঞ্চুরির পথে ২ বার রাহুলের ক্যাচ মিস করেছেন কোহলি। ছাত্রের ক্যাচ ছাড়ার প্রসঙ্গে রাজকুমার বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি এরকম হতেই পারে। যে কেউ একটি-দুটি ক্যাচ মিস করতে পারে। এমনকি জন্টি রোডসও মাঝে মধ্যে দু-একটি ক্যাচ মিস করেছেন। জাভেদ মিয়াদাদকে দারুণ ফিল্ডার বলা হত। কিন্তু আপনি পেছনে ফিরে গেলে দেখবেন, দু-একবার ক্যাচ তাঁরও হাত ফসকেছে। এটি নিতান্তই একটি খারাপ দিন, এমনটা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে।’ তবে খারাপ সময়ের মধ্যে থেকে বের হওয়া কোহলির জানা আছে বলে জানিয়েছেন রাজকুমার। বলছেন, ‘ভালোভাবে ফিরে এসে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ওর আছে।’