নয়াদিল্লি: ফ্রান্সে প্রথম করোনা-আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর প্রথম চার সপ্তাহের পর সেদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭। অষ্টম সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পর সংখ্যাটা বেড়ে সাড়ে ৬ হাজার ছাপিয়ে যায়। ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। প্রথম চার সপ্তাহের পর সেখানে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫০। আরও চার সপ্তাহ পর সেখানে মোট আক্রান্ত প্রায় ২৮ হাজার ছুঁই-ছুঁই। বর্তমানে সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি।  একই উদাহরণ ইউরোপের একাধিক দেশে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম চার সপ্তাহ আক্রান্তের হার কম হলেও, পরের চার সপ্তাহে তা আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
এখানেই আতঙ্কের প্রহর গুণছেন দেশের তামাম বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে, দেশে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৭। মৃত ৩। কিন্তু, সমস্যা হল-- ভারতে অষ্টম সপ্তাহ এখনও আসেনি। দেশে সবেমাত্র চার সপ্তাহ শেষ হওয়ার পথে। অর্থাৎ, বিশেষজ্ঞদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই আশঙ্কার পর্যায় শীঘ্র শুরু হতে চলেছে। কেন্দ্রও স্বীকার করে নিয়েছে, 'ফেজ ৩' যখন-তখন শুরু হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা এই আশঙ্কার কারণ হিসেবে ভারতের জনসংখ্যার তত্ত্ব খাড়া করেছেন। তাঁদের দাবি, এশিয়ার অন্য দেশে যা সম্ভব হয়েছে, ভারতে তেমন নিয়ন্ত্রণ নাও করা যেতে পারে। ফলত, করোনার পরবর্তী টার্গেট হতে পারে ভারত।
ইতিমধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সীমান্ত আটকে দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। আক্রান্তদের সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ হয়েছে, তাঁদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বর্তমানে দিনে ৫০০ টি নমুনা পরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ গবেষণাগারে। সেই ক্ষমতা বাড়িয়ে ৮০০০ করা হয়েছে। যদিও, বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন জনবসতির হার এবং মানুষের মধ্যে সংযোগের ফলে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এখন সরকার এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করে, সেটাই দেখার।