বেজিং: চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের শিকারের সংখ্যা। বুধবার পর্যন্ত, এই মারণ সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৪৯২ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
চিনা সরকারি চ্যানেল জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশে আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ভাইরাসটি প্রথম নজরে আসে এই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে। সেখান থেকে ভাইরাসটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে।
আর ভাইরাস যত ছড়িয়ে পড়ছে, ততই বহির্বিশ্ব থেকে আরও ছিন্ন হচ্ছে চিন। সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রুখতে দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া সহ একাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের তথাকথিত কোনও চিকিৎসা বের হয়নি। বিশ্বের প্রথম সারির কিছু স্বাস্থ্য সংস্থা গবেষণা চালিয়ে কিছুটা ইতিবাচক ফল পেয়েছে এই ভাইরাসকে আটকানোর। তারা এইচআইভি ও অন্যান্য অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধের মিশ্রণ ঘটিয়ে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে বলে খবর।
চিনেও একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেখানকার প্রশাসন। যত দিন যাচ্ছে, কোয়ারানটাইন জোন-এর পরিধি বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই, ইউহান সহ গোটা হুবেই প্রদেশে সর্বত্র লকডাউন করে রাখা হয়েছে। ১২ শহরে আটকে পড়েছেন প্রায় ৫.৬ কোটি বাসিন্দা। চিনা প্রশাসনের আশঙ্কা, এই মানুষরা বাইরে গেলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়বে। সামনেই চিনা নতুন বছর। সেইসময় লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
বিশ্বের তাবড় তাবড় স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি এই মহামারী রুখতে ও মোকাবিলা করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখনও পর্যন্ত চিনের সীমানা ছাড়িয়ে ভারত সহ এশিয়ার সাতটি দেশ, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে।
চিনে সাম্প্রতিককালে গিয়েছেন এমন বিদেশিদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিনগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে ভিয়েতনাম।
এদিকে, হংকং থেকে জাহাজে জাপানে আসা দশ নাগরিকের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। জানা গিয়েছে, ইয়োকোহামায় বন্দরে আসা ওই ক্রুজ জাহাজের ১০ যাত্রীর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি যাত্রীদের আরও ১৪ দিন ওই জাহাজেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।