কলকাতা: বাংলার নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। মুখ্যসচিব রাজীব সিন্হার দেওয়া পরিসংখ্যান, নতুন করে ১২ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। বর্তমানে চিকিৎ‍সাধীন ৮৯ জন। অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ৫।মুখ্যসচিব বলেন, ডেথ নিয়ে আমরা অডিট কমিটির কাছে রিপোর্ট দিচ্ছি, তারা খতিয়ে দেখে কনফার্ম করলে, তবেই করোনায় মৃত্যু বলে অন্তর্ভূক্ত করছি।
করোনার সংক্রমণকে নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বেঁধে রাখতে বিভিন্ন রাজ্যে হটস্পট চিহ্নিত করে এলাকা সিল করে দিচ্ছে প্রশাসন। বাংলাতেও সেই কাজ চলছে। মুখ্যসচিব বলেন, যে সমস্ত জায়গা হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে, তার আশেপাশে ৩টি স্তরে ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। ত্রিস্তরীয় ক্লাস্টার জুড়ে ১০০ শতাংশ লকডাউনের পরিকল্পনা। মানুষের যাতে অসুবিধার কথা ভেবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের সরবরাহ বজায় রাখতে তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান। কড়া ভাবে লকডাউন কার্যকর হবে। এছাড়া আর কোনও চয়েজ নেই আমাদের কাছে। মানুষের সমস্যা হবে। কিন্তু, কোনও চয়েজ নেই। এর জন্য ব্রড গাইডলাইন ইস্যু করতে চলেছি।
মুখ্যসচিবের দেওয়া পরিসংখ্যান,  রাজ্যে এখন ৪ হাজার ৮৩০ জন সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আছেন। হোম কোয়ারেন্টিনে ৪৪ হাজার ৮৭৪ জন। এদিকে এক রোগীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায়  আক্রান্তের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স-সহ পঁচিশজন স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল।  বাইপাস লাগোয়া ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির বৃহস্পতিবার রাতে নমুনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই ওই রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় এম আর বাঙুরে।
এদিকে এম আর বাঙুরে চিকিৎসাধীন  করোনা আক্রান্ত  ১২ জনকে শুক্রবার সন্ধেয় নিয়ে যাওয়া হয় সল্টলেক করোনার জন্য চিহ্নিত চিকিৎসা কেন্দ্রে। করোনা আর লকডাউনের জোড়া ফলায় দেশের অর্থনীতি সঙ্কটে। অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়ে ঘরে বসেছেন। রোজগার নেই। এই অবস্থায় শ্রমিকদের সুরাহা দিতে শর্ত সাপেক্ষে চা বাগান খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন সেই সংক্রান্ত অর্ডার জারি করে নবান্ন।