নয়াদিল্লি: ১৯ দিন বেড়ে গেছে লকডাউনের সময়সীমা। ১৪ এপ্রিল সকালে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে অবধি বাড়ানোর ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ১ সপ্তাহ দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই সময় কড়া নজর দেওয়া হবে স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে অর্থাৎ যেখানে বেশি করোনা-সংক্রমণ ঘটেছে।
সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যে সব জায়গায় করোনা সংক্রমণ ঘটেনি সেখানে ২০ এপ্রিলের পর থেকে জরুরি প্রয়োজনে চলাফেরায় কিছু ছাড় মিলতে পারে। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে সরকার বেছে নিচ্ছে এই স্পর্শকাতর অঞ্চল, এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরছে অনেকের মনে। কী কী ধরনের নিয়মকানুন জারি করা হবে এই অঞ্চলগুলিতে...উত্তর মিলবে ডি ডি ন্যাশনালের টুইট করা একটি ভিডিওতে।

কোন কোন এলাকা কোভিড ১৯ স্পর্শকাতর অঞ্চল?
যে সব অঞ্চলে ৬ এর বেশি করোনা সংক্রমনের সন্ধান মিলেছে, সেই এলাকাকেই স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে ধরা হবে।

এইসব অঞ্চলে মানুষের জীবন যাত্রায় কী বদল আসবে
?
লকডাউন চলাকালীনও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধ, ব্যাঙ্ক ইত্যাদি জায়গায় যাওয়ার ছাড়া পাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু চিহ্নিত স্পর্শকাতর অঞ্চলে বাড়ি থেকে বেরনোর সেই সুযোগটুকুও মিলবে না। বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়া হবে খাবার, সবজি, মুদিখানার সামগ্রী, ওষুধ।
সংক্রমণ এড়াতে এইসব জায়গায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার?
এলাকার জীবাণুমুক্তকরণ করা হবে আরও নজর দিয়ে। সেখানকার বেশিরভাগ মানুষের কোভিড ১৯ পরীক্ষা হবে। প্রত্যেকের বাড়িতে অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধপত্র পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে সরকার।
এতে কী লাভ?
সংক্রমণ কোথায় কোথায় বেশি ঘটেছে সেই জায়গা নির্দারিত করে ফেললে স্বল্প পরিসরে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এতে গোষ্ঠী সংক্রমণ এড়ানো যাবে।