গবেষণাটি করেছে চিনের বেজিংয়ের অ্যাকাডেমি অফ মিলিটারি মেডিক্যাল সায়েন্স। গবেষকরা বলছেন, করোনার চরিত্র থেকে জানা যাচ্ছে, জীবাণু বায়ুবাহিত হয়ে ১৩ ফুট পর্যন্ত যেতে পারে। ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল-এর জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। করোনার ভরকেন্দ্র চিনের ইউহান শহরের একটি হাসপাতালের আইসিইউ-এর বাতাসের নমুনা ও সেই হাসপাতালেরই করোনা রোগীদের চিকিৎসা হওয়া জেনারেল ওয়ার্ডের বাতাসের নমুনা তাঁরা পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। যদিও তাঁরা বলছেন, এত দূর থেকে এসে করোনা জীবাণুর সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
ওই গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, যে সব জিনিসপত্রে আমরা নিয়মিত স্পর্শ করি, যেমন কম্পিউটারের মাউস, নোংরা ফেলার বিন, রোগীর বিছানার রেলিং, দরজার হাতল- এই সবে করোনা জীবাণু লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা প্রবল। চিকিৎসা কর্মীদের শার্টের হাতা, দস্তানার মধ্যে করোনা জীবাণুর ভালরকম উপস্থিতি রয়েছে। অর্থাৎ করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসার ঠিক পরেই চিকিৎসকদের হাত ভালভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
তবে করোনা জীবাণুর সর্বাধিক উপস্থিতি হাসপাতালের মেঝেয়। কারণ রোগীদের সর্দি, কাশির সময় তরলের ফোঁটা মেঝেতেই পড়ে সব থেকে বেশি। হাসপাতাল কর্মীর জুতোর সোল থেকেও করোনা সংক্রমণ সম্ভব।