নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস মহামারী দ্রুত গতিতে দেশে ছড়িয়ে পড়লেও কোভিড-১৯ প্রতিহত করার জন্য এখনও কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা প্রতিষেধক নেই। আর ভ্যাকসিন তৈরি হতেও অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। তাই নিরাপদ দূরত্ববিধি পালন এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাই এখনও রোগ সংক্রমণ রোধের একমাত্র দাওয়াই। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ বলরাম ভার্গব।
তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যে এখন দেশে মৃত্যুর হার অনেকখানি কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.১০ শতাংশ। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের বয়স ৬০ বছরের বেশি, আর ৩৭ শতাংশের বয়স ৩৫-৪০-এর মধ্যে। স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘করোনাভাইরাস দেশের নতুন নতুন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। ৬৬ শতাংশ কেস এখন জেলার। আবার মাত্র ১০টা রাজ্যেই দেশের মোট ৮২ শতাংশ সংক্রমণ।এখনও পর্যন্ত দেশের ০.২৭ শতাংশ আক্রান্ত মানুষের জন্য ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করা গিয়েছে, অর্থাৎ এখন আমরা ভেন্টিলেটরের ব্যাপারে ১ শতাংশেও পৌঁছাতে পারিনি।আবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কোভিড-ডেথ হিসেবে স্পষ্ট রিপোর্টে লেখার যে নির্দেশ কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও কারও বিশেষ মাথাব্যথা নেই।‘
প্রসঙ্গত দেশে এখনও পর্যন্ত ২ কোটিরও বেশি মানুষের কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের দেহে মারণ ভাইরাস সক্রিয় রয়েছে। চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লক্ষাধিক মানুষ।