নয়াদিল্লি: এখনই দু-চার সপ্তাহের জন্য দেশের সব শহর, নগর লকডাউন অর্থাত জনজীবন স্তব্ধ করে দেওয়া হোক। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে এমনই প্রস্তাব দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর, দেশে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আজ বেড়ে হয়েছে ১৭৩। দেশের নানা প্রান্ত থেকে নতুন করে অনেকের সংক্রামিত হওয়া খবর পাওয়া গিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে দফায় দফায় ট্যুইট করে এই শীর্ষ কংগ্রেস নেতা বলেছেন, যেহেতু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) নির্বিচার স্যাম্পল পরীক্ষায় বেরিয়েছে যে, এখনও দেশে কোনও সম্প্রদায়গত সংক্রমণ (স্টেজ থ্রি) ঘটেনি, সুতরাং সাময়িক লকডাউন জারি করে দ্বিতীয় স্টেজেই এই মারণ-রোগ ঠেকিয়ে দেওয়ার এটাই ঠিক সময়।
যে কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রের চেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় এগিয়ে আছে, তারাই প্রথম নিজেদের শহর, নগরগুলিতে লকডাউন ঘোষণা করুক।


আজ রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন করেনাভাইরাস সংক্রমণ ঘিরে আশঙ্কা, ত্রাসের আবহে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন, তার প্রাক্কালে করা ট্যুইটেও তিনি বলেন, আজ রাত আটটায় কী ঘোষণা করছেন প্রধানমন্ত্রী? আমি হতাশ হব যদি তিনি অন্তত দেশের সব শহর, নগরে ২ থেকে চার সপ্তাহ লকডাউন ঘোষণা না করেন। যা-ই তিনি বলুন, এটা না করলে দেশকে তিনি হতাশ করবেন।

দুনিয়াব্যাপী অতিমারী বলে ঘোষিত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ডিরেক্টর জেনারেল একে ‘মানবতার শত্রু’ বলে মন্তব্য করেছেন।

এই সূত্র ধরে হু-র ডিরেক্টর জেনারেলের গতকালের বক্তব্যের পর আমাদের সব শহর, নগর ২ থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য লকডাউনের নির্দেশ দেওয়ায় আর কোনও দ্বিধা, সংশয় থাকা উচিত নয় বলেও অভিমত জানান চিদম্বরম।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও) ট্যুইট করে জানায়, মারণ ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি উদ্যোগ, প্রয়াস খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কী করে ভারতের প্রস্তুতি জোরদার করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে আছে পরীক্ষা করানোর সুবিধা, ব্যবস্থা উন্নত করা।