নয়াদিল্লি: যেভাবে এ দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ভারত সরকারকে এখনই বেশ কয়েকটি পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকা উচিত। সরকারকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে, অদূর ভবিষ্যতের জন্য তৈরি থাকতে হবে ও মধ্যবর্তী পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। বলছে বিসিজি রিপোর্ট।


রিপোর্টটির নাম, কভিড-১৯: ইন্ডিয়া পার্সপেক্টিভ। এতে বলা হয়েছে, তিনটি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে- প্রথমত, দ্রুত সেরে ওঠা, দ্বিতীয়ত, ধীরে ধীরে বা দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরা ও তৃতীয়ত, ভাইরাসের চরিত্র পরিবর্তন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের কথা মাথায় রেখে সেইভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা বা টিকা তৈরি করা, সরকারি নীতি প্রণয়ন। ভারতে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯১, প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনার মত পরিস্থিতি পৃথিবীতে আগে কখনও আসেনি- অন্যান্য মহামারীর তুলনায় এতে সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি, বিরাট এলাকাজুড়ে লকডাউন ও ডিজিটাল সংযুক্তিকরণের জেরে ভয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে যাওয়া। অতএব এই মুহূর্তে তৈরি হোক র‌্যাপিড রেসপন্স অফিস, মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা হোক, আর্থিক সংস্থাগুলির ওপর কতটা চাপ পড়ছে দেখা হোক, নজর দেওয়া হোক রাজস্ব ও চাহিদা ক্ষেত্রে। সাপ্লাই চেন ঠিকঠাক করা হোক, বাণিজ্যিক পরিকল্পনাগুলি পুনর্গঠিত হোক।

লিকুইডিটি অফিস খোলা হোক, টাকার ফ্লো যেন ঠিক থাকে, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বাজারের পরিস্থিতি দেখতে তৈরি হোক ডিম্যান্ড-সাইড র‌্যাপিড রেসপন্স টিম, যাদের কাজ হবে জিনিসপত্রের দাম ও সাধারণের ওপর তার প্রভাব খতিয়ে দেখা। মানুষের চাহিদার পরিবর্তন সম্পর্কে বোঝা, লোকসানের আশঙ্কা কমানো, খদ্দেরদের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা। রিপোর্টে বলা হয়েছে। সংস্থাগুলি তাদের গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চাহিদা বুঝুক, দরকারে ঋণদান সংক্রান্ত সুবিধে বাড়াক। মহামারীর সময় বাজারে কী কী জিনিস রাখা জরুরি তা বুঝতে হবে, এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে মহামারী শুরু হলেও কাজ চলতে পারে ঠিকমত।