এ পর্যন্ত বাংলায় ৭ করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বাড়ছে কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংখ্যা। বালিগঞ্জের আক্রান্ত তরুণের বাবা-মা ও পরিচারিকার শরীরেও মিলেছে চিনা ভাইরাসের অস্তিত্ব। এই পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রবিবারের জনতা কার্ফুতে সারা দেশে সাড়া মিলেছে অভূতপূর্ব । মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুক্রবার রাত বারোটা পর্যন্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ১৮৯৭ সালের মহামারী আইনের ২, ৩, ৪ ধারার ক্ষমতাবলে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠীসংক্রমণ ঠেকাতে ‘সার্বিক সুরক্ষা বিধিনিষেধ’ (কমপ্লিট সেফটি রেসট্রিকশন্স) চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুর এলাকা, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমানে পুরোপুরি এবং আরও কিছু বাছাই করা জেলা শহরে লকডাউন।
কলকাতা ছাড়া জেলার যে যে জায়গায় লকডাউন কার্যকর হবে, সেগুলি হল -
- কোচবিহার জেলা সদর
- আলিপুরদুয়ার জেলা সদর এবং জয়গাঁ
- জলপাইগুড়ি জেলা সদর
- কালিম্পং জেলা সদর
- দার্জিলিং কার্শিয়ং এবং শিলিগুড়ি শহর
- গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলা
- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সদর
- গোটা মালদা জেলা
- গোটা মুর্শিদাবাদ জেলা
- গোটা নদিয়া জেলা
- বীরভূমের সমস্ত পুর-এলাকা
- গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলা
- পূর্ব বর্ধমান জেলা সদর, কালনা শহর ও কাটোয়া শহর
- পুরুলিয়া জেলা সদর
- বাঁকুড়া জেলা সদর, বড়জোড়া শহর, বিষ্ণুপুর শহর
- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সদর, খড়গপুর শহর, ঘাটাল শহর
- ঝাড়গ্রাম জেলা সদর
- পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর, হলদিয়া শহর, দিঘা শহর, কোলাঘাট শহর, কাঁথি শহর
- গোটা হাওড়া জেলা
- হুগলি জেলা সদর, চন্দননগর শহর, কোন্নগর শহর, আরামবাগ শহর, শ্রীরামপুর শহর, উত্তরপাড়া শহর
- দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার, ক্যানিং, সোনারপুর, বারুইপুর, ভাঙড়, বজবজ, মহেশতলা
- সল্টলেক, নিউটাউন-সহ উত্তর ২৪ পরগনা সমস্ত পুর-শহর এলাকালক ডাউন চলা কালীনরাস্তাঘাটে ৭ জনের বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। বন্ধ থাকবে ট্রেন, মেট্রো, বাস-সহ যাবতীয় গণপরিবহণ এবং অফিস, কারখানা। জরুরি পরিষেবা এই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সরকারি নির্দেশ না মানলে আইনত পদক্ষেপ করা হতে পারে।
<iframe src="https://cdn.abplive.com/