নয়াদিল্লি: দেশের কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণের হাত ধরে এখনও করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি বলে দাবি করছে কেন্দ্র। কিন্তু কেরলের কিছু এলাকায় করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বিশেষ করে রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, ভয়াবহ, সেখানকার উপকূল অঞ্চলগুলিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গোষ্ঠী সংক্রমণের নিশ্চিত খবর মিলেছে তিরুঅনন্তপুরমের পুনথুরা ও পুল্লুভিলা এলাকা থেকে। পুল্লুভিলায় কারুণগুলাম পঞ্চায়েতে যে ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের ৫১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। পুনথুরার আয়ুশ সেন্টারে যে ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাঁদের ২৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। শুক্রবার কেরলে মোট ৭৯১টি নতুন সংক্রমণ, ১৩৩ জনের সুস্থ হওয়ার, একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে বলে জানান বিজয়ন। ৭৯১ এর মধ্যে ৫৩২টিই স্থানীয় স্তরে সংক্রমণের ঘটনা। ৪২টি কেসের উত্স এখনও অজানা। শুধু তিরুঅনন্তপুরমেই শুক্রবার ২৪৬ জন পজিটিভ হয়েছেন। সংক্রমণের বিচারে আজও নতুন রেকর্ড হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে শুক্রবারের আগে পর্যন্ত কেরলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ১০২৭৫টি, মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। আজ সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১১০৬৬। অ্যাকটিভ কেস ৬০২৯টি।
গত কয়েকদিনে পুল্লুভিলা ও পুনথুরায় তীব্র গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে খবর। বর্তমানে কেরলের সব জেলাই কোভিড-১৯ কবলিত। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে তিরুঅনন্তপুরমে, তারপর এর্নাকুলামে। স্থানীয় স্তরে ব্যাপক সংক্রমণের প্রেক্ষিতে তিরুঅনন্তপুরমের উপকূল এলাকাকে তিনটি জোনে ভাগ করে কর্ডন করে ঘিরে দেওয়া হবে। বিশেষ পুলিশ ও সিভিল সার্ভিস টিম তৈরি হয়েছে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে। আরও ফার্স্ট লাইন ট্রিটমেন্ট সেন্টার তৈরি হবে।
বিজয়ন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ১৬৬৪২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ১,৭৮,৪৮১ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে আছেন ৬১২৪জন, বাকিরা হোম কোয়ারান্টিনে।