দিল্লি : তীব্র হচ্ছে অক্সিজেন সঙ্কট। ইতিমধ্যে অক্সিজেনের অভাবে একাধিক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুও দেখেছে দেশ। অক্সিজেন-সঙ্কট কাটাতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন। PM CARES-এর মাধ্যমে দেশজুড়ে ৫৫১টি মেডিক্যাল অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট গড়া হবে। আজ এক বিবৃতিতে এমনটাই জানাল পিএমও। এবিষয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রীও।
এক বিবৃতিতে পিএমও-র তরফে জানানো হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এই প্ল্যান্টগুলি যাতে স্বাভাবিক কার্যকলাপ শুরু করতে পারে তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এই প্ল্যান্টগুলি জেলা স্তরে অক্সিজেন জোগানের ক্ষেত্রে প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠবে। জেলা সদরের সরকারি হাসপাতালে PSA অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্ট তৈরির প্রাথমিক লক্ষ্য, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা। এবং এই হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এর ফলে জেলার হাসপাতালগুলিতে প্রতিদিন অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ হবে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থার ফলে জেলার সরকারি হাসপাতালগুলি হঠাৎ করে অক্সিজেন ঘাটতির মুখোমুখি হবে না। করোনা আক্রান্ত ছা়ড়াও অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে এমন রোগীদের অক্সিজেনের যথেষ্ট জোগান দেওয়া যাবে। বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জেলাস্তরে চিহ্নিত করা হাসপাতালগুলিতে এই প্ল্যান্টগুলি তৈরি করা হবে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের মাধ্যমে।
এবিষয়ে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, অক্সিজেনের যথেষ্ট জোগান নিশ্চিত করতে প্রত্যেক জেলায় অক্সিজেনের প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। একটি গুরুপূর্ণ সিদ্ধান্ত। যার মাধ্যমে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের যথেষ্ট জোগান দেওয়া যাবে এবং দেশের মানুষকে সাহায্য করা হবে।
এবছর ৭০০-র বেশি অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্টের অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। এক বিবৃতিতে পিএমও-র তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ১৬২টি PSA মেডিক্যাল অক্সিজেন জেনারেশন প্ল্যান্টের জন্য চলতি বছরের গোড়ার দিকে PM CARES ফান্ড থেকে ২০১.৫৮ কোটি টাকা বণ্টন করা হয়েছে।
এদিকে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়তে থাকায় গতকালই আরও একটি বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেন আমদানির উপর আগামী তিন মাস শুল্ক ছাড় দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। এবং সরকার এর জোগানে কাজ করছে।