পুরী: ওড়িশায় করোনার দাপট বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৫ মে পর্যন্ত ভক্ত-দর্শনের জন্য বন্ধ হল পুরীর মন্দিরের দরজা। গতকাল এই মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ (এসজেটিএ)। 


তবে, মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভক্তদের জন্য মন্দির বন্ধ হলেও, নিয়মিত পুজো চলবে। মন্দিরে একমাত্র সেবায়েত ও মন্দির কমিটির আধিকারিকরাই প্রবেশ করতে পারবেন। 


গতকাল সেবায়েত সংগঠন, জেলা কালেক্টর, পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্দির কমিটির মুখ্য প্রশাসক কৃষাণ কুমার। 


ওই বৈঠকে এ-ও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রথা অনুযায়ী, রথের চাকা তৈরির কাজ চলবে। আগামী চন্দনযাত্রা, স্নানযাত্রা ও রথযাত্রার কথা মাথায় রেখে যথেষ্ট পরিমাণ মাস্ক ও স্যানিটাইজার কিনবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত এবছর ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রথযাত্রার। 


কুমার জানান, মন্দিরের নিত্যকাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে, তার জন্য কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়ে সকলেই ঐকমত্য পোষণ করেন। 


তিনি জানান, মন্দির কমিটির আধিকারিক ও সেবায়েতদের নিয়মিত স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা হবে। আগামী ১৫ মে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হবে রথযাত্রার প্রস্তুতি। 


শনিবারের বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নীলচল যাত্রী নিবাসে গঠিত কোভিড কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা আরও উপযুক্ত করে তোলা হবে। সঙ্কটজনকদের ভুবনেশ্বর সহ বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থাও রাখা হবে।


মন্দিরের পুজারীদের ও রথযাত্রার প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে। 


দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৩ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা। তবে, মন্দির দর্শনের অনুমতি মোট তিনটি ধাপে বিভক্ত দেওয়া হয়।


প্রথম ধাপে মন্দির খোলার পর প্রথম তিনদিন সেবায়েতদের পরিবার ছাড়া আর অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। অর্থাৎ, ২৬ তারিখ পর্যন্ত কেবলমাত্র সেবায়েতদের পরিবারবর্গই মূল মন্দিরে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়েছিল।


পরের ধাপে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরীর বাসিন্দা যাঁরা, তাঁদের জন্য মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে, তারিখ দিয়ে শহরের ওয়ার্ড নম্বর ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। 


এরপর, ৩ জানুয়ারি থেকে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল পুরীর মন্দির।