নয়া দিল্লি : রাজধানীর কোভিড সঙ্কট সামলাতে পারছে না আপ সরকার। বিধায়ক হয়েও কিছু করতে পারছেন না তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে রাজধানীতে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইলেন খোদ আপ এমএলএ শোয়েব ইকবাল। যা নিয়ে করোনাকালে সরগরম দিল্লির রজানীতি।


এদিন দিল্লির মাটিয়া মহলের বিধায়ক এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ''আজ দিল্লির পরিস্থিতি দেখে আমি খুবই বিচলিত। কান্না পাচ্ছে, রাতভর ঘুম আসছে না। দিল্লিতে অক্সিজেন, ওষুধ না পেয়ে লোকজন ছটফট করছে। আমার নিজের বন্ধুর অবস্থা ভাল নয়। ওকে কোথা থেকে অক্সিজেন, রেমডিসিভির এনে দেব তা ভেবে কুল পাচ্ছি না। নিউ লাইফ হসপিটালে ও পড়ে রয়েছে। টাকা থাকলেও কিছু করতে পারছে না। ও হাসপাতাল, বেড কিছুই পাচ্ছে না।''


এই বলেই থেমে থাকেননি প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক। গতবারই কংগ্রেস ছেড়ে আম আদমি পার্টির টিকিটে জয় পান তিনি। এদিন আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ''আজ বিধায়ক হয়ে আমার একটুও গর্ব হচ্ছে না, বরঞ্চ অসম্মানিত মনে করছি। সরকার আমাদের, অথচ আমরা কারও কাজে আসছি না। আমি দিল্লিতে ৬ বারের বিধায়ক। অথচ আমার কথা কেউ শুনছে না। কে নোডাল অফিসার কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। যা পরিস্থিতি দিল্লির রাস্তায় এখন মৃতদেহ ভর্তি হয়ে যাবে। আমি চাই, হাইকোর্টের নির্দেশে দিল্লিতে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক।''


১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা দেশে। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ। যদিও নতুন করে এই টিকাকরণ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকার কারণে নির্দিষ্ট দিন থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁদের কাছে ভ্যাকসিন নেই। ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলির কাছে ডোজের জন্য অনুরোধ করেছেন তাঁরা। ভ্যাকসিন এলেই দিল্লিবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।


দিল্লির করোনা চিত্র বলছে, বৃহস্পতিবার ৩৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানীতে। এই নিয়ে টানা আট দিন দিল্লিতে সংক্রমণের জেরে ৩০০-র বেশি ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।