জেরুজালেম : প্রকৃত করোনা ভাইরাসের থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি সংক্রামক ব্রিটেনের কোভিড ভ্যারিয়েন্ট। নতুন এক গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় ৩ লক্ষ পিসিআর টেস্টের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নতুন করে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে গোটা বিশ্বে। বহু দেশে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি। শুরু হয়েছে একাধিক গবেষণা। সম্প্রতি জেরুজালেমের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেরকমই একটি তথ্য উঠে এসেছে । তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রকৃত করোনা ভাইরাসের থেকে বেশি সংক্রামক ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট।
তথ্য প্রমাণ ছাড়া একথা বলছেন না গবেষকরা। গবেষকদের দাবি, এই সিদ্ধান্তে আসতে একটি কিটের মাধ্যমে তিনটি আলাদা ভাইরাল জিন পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার সময় গবেষকরা দেখতে পান, মিউটেশেনের পর ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট বা 'এস জিন' সম্পূর্ণ মুছে গেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি বিভাগের এরিয়েল মুনিজ বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে ইংল্যান্ডের ভ্যারিয়েন্ট B117 এর ওপর নজর রাখছিলাম। তখনই বিষয়টি সামনে আসে।
৩ লক্ষ পিসিআর টেস্টের পর দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনের কোভিড ভাইরাস অন্যদের তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে। ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে সংক্রমণের হার ছিল ৫ শতাংশ। মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যেই ইজরায়েলের ৯০ শতাংশ করোনা কেসের কারণ হয় ওঠে ব্রিটেনের এই ভ্যারিয়েন্ট। বর্তমানে তা ৯৯.৫ শতাংশে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই এই গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে -সেল রিপোর্টস মেডিসিন।
মুনিজ জানান, ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট-এর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তুলনামূলক পরীক্ষা শুরু করেন তাঁরা। সেখানে SARS CoV-2 ও এর ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আরম্ভ হয় গবেষণা। দেখা যায়, ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট SARS CoV-2-র থেকে ৪৫ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
সম্প্রতি করোনার ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে ল্যানসেট। সেখানে বলা হয়েছে, SARS CoV-2-র থেকে বেশি সংক্রামক হলেও করোনার ব্রিটেনের ভ্যারিয়েন্ট মানবদেহে অসুস্থতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না।