নয়াদিল্লি: সারা দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। একইসঙ্গে দেখা গিয়েছে অক্সিজেনের সঙ্কটের ভয়াবহ ছবি। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির অন্যতম উপসর্গ শ্বাসকষ্ট। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কত জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর তা বাড়িতে বসেই জানা সম্ভব। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কত তা বুঝে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে কি না তাও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।


অক্সিজেন স্যাচুরেশন কী?


অক্সিজেন স্যাচুরেশন হল নির্দিষ্ট সময়ে করোনা রোগীর রক্তে কী পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে তার হিসেব। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন স্যাচুরেশন হওয়া উচিত ৯৫ থেকে ১০০-র মধ্যে। ৯০-এর নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় হাইপোক্সেমিয়া। ৮০-র নিচে নেমে গেলে হৃদযন্ত্র এবং শরীরের উপর প্রভাব পড়তে পারে। আর তা থেকে হৃদযন্ত্র বিকল হতে পারে। এমনকী হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও আছে।


বাড়িতে অক্সিমিটার যন্ত্রের সাহায্যে অক্সিজেন মাপা যায়। কীভাবে তা মাপা যায়, তার বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কীভাবে মাপবেন অক্সিজেন স্যাচুরেশন?



১. অক্সিমিটারে আঙুল ঢোকানোর আগে খেয়াল রাখতে হবে যেন নখে নেলপলিশ বা কৃত্রিম নখ না থাকে। থাকলে তা তুলে ফেলুন।


২. অক্সিজেন স্যাচুরেশন দেখার আগে শরীরকে অন্তত ৫ মিনিট বিশ্রামে রাখা প্রয়োজন।


৩. অক্সিমিটার যন্ত্র অন করে তাতে তর্জনী বা মধ্যমা  আঙুল ঢোকাতে হবে।


৪. প্রাথমিকভাবে এই পরিমাপ ওঠানামা করতে পারে। যদি ওঠানামা বন্ধ না হয় তাহলে এক মিনিট বা তার বেশিক্ষণ অপেক্ষা করুন।


৫. ৫ সেকেন্ডের মধ্যে পরিমাপ ওঠানামা না করলে সেটাই চূড়ান্ত ফল।


৬. প্রত্যেকবার এই ফল খুব গুরুত্বের সঙ্গে নজর দিতে হবে।


৭. প্রতিদিন অন্তত ৩ বার নির্দিষ্ট সময় মেনে অক্সিমিটারে অক্সিজেন স্যাচুরেশন দেখতে হবে।


৮. প্রয়োজনে ১০৭৫ নম্বরে ফোন করুন। শ্বাসকষ্ট হলে বা অসুস্থ বোধ করলে বা অক্সিমিটারে অক্সিজেন স্যাচুরেশেন ৯২ হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।