কলকাতা : করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রের উপর আরও চাপ বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভ্যাকসিনের একটাই দাম নির্ধারণ করা হোক। টুইটারে এই দাবি তুললেন মমতা।
তিনি লেখেন, বিজেপি সবসময় এক দেশ, এক দল, এক নেতা বলে চিৎকার করে। কিন্তু, মানুষের জীবন বাঁচাতে ওরা ভ্যাকসিনের একটাই দাম নির্ধারণ করতে পারে না।
আরও লেখেন, জাতি, ধর্ম, বয়স, জায়গা- নির্বিশেষে সকল ভারতীয় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন চান। ভারত সরকারের উচিত কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য একটাই দাম ঠিক করা- তা সে কেন্দ্রই দিক বা রাজ্যগুলি।
গত সোমবার কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত দামে দেশের খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রি করতে পারবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এরপর বুধবার সিরাম ইন্সটিটিউটের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা রাজ্যের কাছে ৪০০ টাকায় এবং দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ৬০০ টাকায় কোভিশিল্ড বিক্রি করবে।
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভ্যাকসিনের ভিন্ন দাম নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন। কেন্দ্রকে এব্যাপারে মধ্যস্থতা করার আবেদন জানান তিনি। বলেন, "যে ভ্যাকসিন কেন্দ্রকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল, তা রাজ্যগুলিকে ৪০০ টাকায় এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এরকম বৈষম্য থাকা উচিত নয়। জরুরি অবস্থায় আপনি মানুষকে সাহায্য করবেন না ব্যবসা করবেন?"
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ভ্যাকসিনেশনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকা সরিয়ে রেখেছে। ভোটের ফল ঘোষণার পর ৫ মে থেকে টিকাকরণ শুরু হবে।
বিজেপির তরফে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বলেন, উৎপাদন খরচ, বাজারের চাহিদা এসবের উপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থাগুলি দাম নির্ধারণ করেছে। উৎপাদনকারীদের অধিকার আছে, খোলা বাজারে দাম ঠিক করার। একটি ওষুধের দাম ঠিক করতে কেন্দ্র কীভাবে মধ্যস্থতা করতে পারে তা ওঁর(মমতার) বলা উচিত। উনি নিজেই কেন কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা করছেন না ?
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । যাতে বিনামূল্যে টিকাকরণ শুরু করা যায়।