কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা মানলে, দেশে ভ্যাকসিন দিতে ১০ বছর লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, এর আগে ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি। এখন এখন ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ভ্যাকসিন চাইছি। বলেছিলেন বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেবে। এখন ভ্যাকসিন তো দিচ্ছে না, উল্টে মুখ লুকিয়ে পালাচ্ছে।


বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৩০ হাজার কোটি টাকা দিলেই, সবাই পেত নিখরচায় ভ্যাকসিন। সেটাই দিলেন না। কেন্দ্র অক্সিজেন দিচ্ছে না, রেমডিসিভির কেন বাজারে নেই? বিহার ভোটের আগে বলেছিলেন, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেব। বাংলার ভোটের আগেও একই প্রতিশ্রুতি দেন। এখন মুখ লুকিয়ে পালাচ্ছেন। উনি বিল্ডিং বানাচ্ছেন আর  ১৮ বছরের ছেলেমেয়েরা মরছে। কোভিড নিয়ে বৈঠক কেন এত ক্যাজুয়াল হবে? প্রশ্ন মমতার।


এদিন বৈঠেকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে ভ্যাকসিন দিলে তিন মাসের মধ্যে সবাইকে দেব। বারবার দুই ভ্যাকসিনের মধ্যে সময়সীমা পাল্টানো হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেই বলে, বারবার সময়সীমা পাল্টাচ্ছে। চাইলে ওষুধ পর্যন্ত দিচ্ছে না, সবই তো কেন্দ্রের কাছে। আগে বলত সব কা সাথ, এখন বলছে সব ঠিক হ্যায়। তাঁর অভিযোগ, এরাজ্য থেকে অক্সিজেন কেড়ে অন্য রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে।


এদিন পশ্চিমবঙ্গ সহ ৯ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবরা। ছিলেন জেলা শাসক সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন,  মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে একটি কথাও বলতে দেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, আমরা মুখ্যমন্ত্রীরা অপমানিত। মুখ্যমন্ত্রীদের পুতুলের মতো বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কেউ ওষুধ-অক্সিজেনের অবস্থা নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করেননি। ভাষণে উনি বললেন করোনা নাকি কমে গিয়েছে। এই অবহেলার জন্যই করোনা বেড়ে গিয়েছিল।


একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় দল নিয়েও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভোটের পর হিংসা দেখতে দল পাঠাচ্ছে, ভ্যাকসিন আনতে পাঠিয়েছে? তাঁর প্রশ্ন, গঙ্গায় কেন মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। বলছে উত্তরপ্রদেশে কিছুই হয়নি। এসব জায়গায় কেন কেন্দ্রীয় দল যায় না?