গুরগাঁও: করোনার প্রকোপ সামলে উঠছে দিল্লি। আশা জাগিয়ে, সংক্রমণের হার কমছে গুরগাঁও-তেও। দু সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ শতাংশ থেকে করোনা সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১২.১৩ শতাংশ। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী গুরগাঁও-এ সুস্থতার হার বেড়েছে ৯৫.৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এখন গুরগাঁওতে প্রতিদিন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। শনিবার এখানে মাত্র ৫১৬টি কোভিড কেস মিলেছে।
গুরগাঁও-এর জেলা প্রশাসক যশ গর্গ একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ২৯ এপ্রিল ৪১.৯৮ শতাংশ করোনা কেস নথিভুক্ত হয়েছিল। ৩০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্তের হার ছিল ৩৪.৯১ শতাংশ। ২ মে সংখ্যাটা ছিল ৩৪.৪ শতাংশ। ১১ মে গুরগাঁওতে করোনার আক্রান্তের হার ছিল ২৪ শতাংশ। তবে ২৩ মে অর্থাৎ আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২.১৩ শতাংশ।
যশ গর্গ জানাচ্ছেন, তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা দিতে এবং কোভিড সংক্রমণের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন কপকে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়াও, মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, এখন বাড়িতে থেকেই সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সেরে উঠছেন রোগীরা।
অন্যদিকে রাজধানীতে ক্রমেই কমছে কোভিড সংক্রমণের হার। লকডাউনের সুফল পাচ্ছে দিল্লি। পরিসংখ্যান বলছে, গত এক মাসেই দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার যেখানে ২৫ শতাংশ ছিল, সেখানে রবিবার তা ২.৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে। তবে পরিস্থিতি আরও খানিকটা বাগে আনতে দিল্লিতে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। রবিবারই এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি করোনার গ্রাফ নিম্নমূখী থাকলে আগামী ৩১ মে থেকে আনলক-পর্ব শুরুর কথাও বলেছে দিল্লি সরকার।
পরিসংখ্যান বলছে, রাজধানীতে কোভিড পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গত এক মাসেই দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার যেখানে ২৫ শতাংশ ছিল, সেখানে শনিবার তা ৩.৫৮ শতাংশে এসে ঠেকেছে। বিগত তিন দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণও ৪ হাজারের নীচে। তবে পরিস্থিতি আরও খানিকটা বাগে আনতেই এই পরিস্থিতিতে ফের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।