দিল্লি : "আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তেরই উপসর্গ সামান্য।" রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া। 


করোনার প্রকোপে বিধ্বস্ত দেশ। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া। রবিবার তিনি বলেছেন, "আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে রেমডিসিভির বা অক্সিজেন মজুত করার প্রয়োজন নেই।" ডাঃ গুলেটিয়ার আর্জি, "আতঙ্কে অনেকেই অক্সিজেন সিলিন্ডার, রেমডিসিভির কিনে বাড়িতে রেখে দিচ্ছেন অযথা। এই সময়ে দয়া করে এগুলির অপচয় করবেন না।"


রবিবার গুলেরিয়া বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রেমডিসিভির কোনও ম্যাজিক বুলেট নয়। যে সমস্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, অন্যান্য আরও অসুখ রয়েছে এবং যাঁদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩-এর নিচে শুধুমাত্র তাঁদেরকেই এই ওষুধ দেওয়া হয়। সামান্য লক্ষণ রয়েছে এমন রোগীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, "চিকিৎসকরা যেমন বলছেন মেনে চলুন, বাড়িতে থেকেই ওষুধ নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। তাতেই ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।"


চিকিৎসকরা বলছেন, দেখা গিয়েছে প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রোগীর জ্বর, সর্দি, শরীরে ব্যথা এবং কাশির মতো সামান্য কিছু উপসর্গ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশনেই তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। রবিবার একটি ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে এই দিকগুলি সাধারণের কাছে স্পষ্ট করেছেন ডাঃ গুলেরিয়া। এএনআইকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছেন, মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণে রেমডিসিভির দরকার এবং মাত্র ৫ শতাংশ রোগীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে।


উল্লেখ্য, এর আগে মন কি বাতে-তে করোনার চিকিৎসা এবং টিকাকরণ নিয়ে একই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, "দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন, বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে থেকেই এই সংক্রান্ত খবর নিন। আমি দেখছি অনেক চিকিৎসকই মানুষের সুবিধার্থে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করছেন, এমনকী পরামর্শও দিচ্ছেন।